ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আটজন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন ইসরায়েলি এবং পাঁচজন থাই নাগরিক। বৃহস্পতিবার এই মুক্তি কার্যকর করা হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলি নাগরিকরা হলেন ২০ বছরের সামরিক পর্যবেক্ষক আগাম বারগার, ২৯ বছরের বেসামরিক নাগরিক আরবেল ইয়েহুদ এবং ৮০ বছরের গাদি মোসেস। অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির বাইরে হামাস নিজস্ব সিদ্ধান্তে থাই নাগরিকদের মুক্তি দিয়েছে। তারা মূলত ইসরায়েলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
বন্দীবিনিময়ের অংশ হিসেবে ইসরায়েল ১১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। তবে মুক্তি কার্যকর হওয়ার ঠিক আগে, তাদের বহনকারী গাড়ি কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত এই মুক্তি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। অবশ্য পরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
মুক্তিপ্রাপ্ত আরবেল ইয়েহুদকে গাজার খান ইউনিস থেকে মুক্তি দেওয়ার সময় বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি সেখানে জড়ো হন। এই পরিস্থিতি নেতানিয়াহুর ক্ষোভের কারণ হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ও বন্দীবিনিময় চুক্তি ব্যর্থ করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এর পর দুই ধাপে হামাস ৭ জন ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয়। বিনিময়ে ইসরায়েল ২৯০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়। তবে, যুদ্ধবিরতির ৪২ দিন পর অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ইসরায়েল গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু করতে পারে।
বন্দী বিনিময়ের এই ঘটনাগুলো ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে। শান্তি আলোচনার অগ্রগতি স্থায়ী সমাধানের দিকে যাবে কি না, তা এখনও অনিশ্চিত।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল