কানাডার পণ্যের উপরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যারিফ আরোপিত হওয়ায় কানাডার সাধারণ নাগরিকদের খরচ বছরে উনিশশো ডলার বেড়ে যাবে। এর ফলে কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যেও এর প্রভাব পড়বে। কানাডার চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাস্ট্রির প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী সামগ্রিক ভাবে কানাডার অর্থনীতির জিডিপি ২.৬% সংকুচিত হবে।
হোয়াইট হাউসের নিয়মিত প্রেস বিফ্রিংয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লাভিট সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন যে কানাডার পণ্যের উপরে ২৫% ট্যারিফ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে। কানাডা এবং মেক্সিকো এই দুই দেশের পণ্যের ক্ষেত্রে ২৫% এবং চায়নার ক্ষেত্রে ১০% হারে ট্যারিফ আরোপিত হবে। এটা কানাডার বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত কানাডার কোন কোন পণ্যের উপরে ট্যারিফ আরোপিত হবে তা স্পষ্ট করে জানায়নি। কানাডার অয়েলের উপরে ট্যারিফ আরোপ করবে কি না তা এখনো পরিস্কার হয়নি। অফিস অর্ডার হওয়ার পর তা জানা যাবে।
অন্যদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন তার সরকার তৈরি আছে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে। তবে তা হবে যুক্তিসঙ্গত। ট্যারিফ আরোপিত হওয়ার ফলে কানাডাও পাল্টা ব্যবস্থা নিবে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিও সংকুচিত হবে। আমেরিকার হিসেবে তাদের মোট জিডিপির ১.৬% সংকুচিত হবে।
অন্যদিকে আমেরিকা ও কানাডার বর্ডারে প্রতিদিন গড়ে ৩.৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য সীমান্ত পারাপার হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪টি অঙ্গরাজ্যের সবচাইতে টপ এক্সপোর্ট ডেস্টিনেশন হচ্ছে কানাডা। ফলে কানাডা যদি পাল্টা ব্যবস্থা নেয় তাহলে আমেরিকার অর্থনীতি ও নাগরিকদেরও একই অবস্থা হবে। অর্থনৈতিকভাবে আমেরিকার নাগরিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ