যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা বৈঠক করেছেন। এ সময় এই দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্র-জাপান সম্পর্কের নতুন সোনালি যুগের ঘোষণা দেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরবর্তী প্রতিটি উদ্যোগের পূর্বাভাস দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এরকম পরিস্থিতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে জাপানি প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারবেন কী না, সে বিষয়টি নিয়ে জাপানে অনেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। বিশেষত, যখন ট্রাম্পের প্রারম্ভিক পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত উদ্যোগগুলো মিত্র ও শত্রু উভয়কেই বিস্মিত করে চলেছে।
তবে সেই উদ্বেগ দূর করে দুই নেতা একে অপরের প্রশংসাই করেছেন। ট্রাম্প ইশিবাকে ওভাল অফিসে তোলা তাদের দু'জনের একটি ছবি উপহার দেওয়ার মাধ্যমে যৌথ সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন।
এ সময় ট্রাম্প মজা করে বলেন, ‘ভালো হতো যদি আমি তার মতো সুদর্শন হতে পারতাম। কিন্তু আমি তা নই’। পরে তিনি গুরুত্বসহকারে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাপানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরোপুরি অঙ্গীকারবদ্ধ। দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতিও দেন ট্রাম্প।
দুই নেতা আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোতে তাইওয়ানের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের ধ্যানধারণার প্রতি সমর্থন জানান। র্যান্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি রিসার্চ ডিভিশনের জাপান লিড জেফরি হরনাং উল্লেখ করেন, নতুন এই চিন্তাধারা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে সীমিত আকারে হলেও তাইওয়ানের প্রতি আরও বেশি কূটনৈতিক সমর্থন দেওয়ার উদ্যোগ প্রকাশ পেয়েছে।
পিয়ংইয়ংয়ের হুমকির মোকাবিলার বিষয়ে দুই নেতা উত্তর কোরিয়াকে পুরোপুরি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের উদ্যোগের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ