শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

মিয়ানমার বাহিনীকে আশকারা দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত

সেনাদের প্রশিক্ষণের প্রস্তাব

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংসতার অভিযোগ গোটা বিশ্বের। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ওপর ২০১৭ সালে নৃশংস ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে গণহত্যারও। এই অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ থেকে শুরু করে অনেক দেশ দেশটির সেনাপ্রধানসহ অনেক জেনারেলের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করেছে। আর সেই বাহিনীকে আশকারা ও বৈধতা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তাতমাদাও নামে পরিচিত এ বাহিনীর সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইয়াং অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে অস্ট্রেলিয়ায় নিজের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। গত ২৯ জানুয়ারি মিয়ানমারে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্ড্রিয়া ফকনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন হ্লাইয়াং। রাজধানী নেপিডোর ব্যায়িন্তাউং ভিলায় এ সাক্ষাৎ হয়। এতে দুজনের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিনিময় হয় ও উভয়ে একসঙ্গে ছবি তোলেন। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া এই সাক্ষাতে রাজি হয়ে গণনিপীড়নকারী সামরিক বাহিনীকে বৈধতা ও গ্রহণযোগ্যতা এনে দিয়েছে। হ্লাইয়াং মিয়ানমারের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, মিয়ারমার বাহিনীটির ‘নিধন অভিযান’ এতটাই নৃশংস ছিল যে, প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ ওঠার পর মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ), ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও কানাডা। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা রক্ষার নীতি মেনে চলা গুটিকয়েক দেশের মধ্যে একটি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তবে সে সম্পৃক্ততা কেবল নন-কমব্যাট বিষয়গুলোয়। এদিকে এইচআরডব্লিউ’র অস্ট্রেলিয়া শাখার পরিচালক এলেইন পিয়ারসন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার উচিত মিয়ানমারের সঙ্গে এসব সাক্ষাৎ এড়িয়ে চলা।

অস্ট্রেলিয়ার উচিত মিন অং হ্লাইয়াংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, ছবি তোলা নয়।

সর্বশেষ খবর