বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

কঠিন পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

খেরসনে তুমুল গোলাগুলি

ইউক্রেনে রাশিয়ার দখলকৃত খেরসনে তুমুল গোলাগুলি চলছে। রুশ বাহিনীর কবল থেকে জায়গাটির দখল নিতে ইউক্রেন সেনারা লাগাতার গোলাবর্ষণ করে চলেছে। রুশ সেনারা অবশ্য প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে রয়েছে। তারা ইউক্রেন বাহিনীকে অগ্রসর হতে দিচ্ছে না, আবার নিজেরাও নিজস্ব অবস্থান থেকে প্রতিপক্ষের অবস্থানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে না। এদিকে রুশ বাহিনীর নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন কঠিন পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন বাহিনীর এই গোলাবর্ষণ বেশিক্ষণ সহ্য করা হবে না। প্রয়োজনে তাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।

কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ইউক্রেন বাহিনী খেরসনের দিকে অগ্রসর হতে না পেরে অনবরত গোলা বর্ষণ করে চলেছে। তারা চেষ্টা করছে খেরসন অঞ্চলের কাখোভকা জলবিদ্যুৎ স্থাপনা বন্ধ করে দিতে। এ জন্য তারা নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহারেরও পরিকল্পনা করছে। যদিও রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী বিষয়টি সম্পর্কে সজাগ রয়েছে। রুশ বাহিনী খেরসনে শক্ত অবস্থান নিয়ে আছে, তারা ইউক্রেন বাহিনীকে অগ্রসর হতে দিচ্ছে না। তবে রুশ বাহিনী তাদের হটানোর জন্য অগ্রসর হওয়ার পরিকল্পনায় নেই। তারা কেবল নিজেদের অবস্থানই রক্ষা করবে।’ সের্গেই সুরোভিকিন আরও বলেন, ‘এই গোলাগুলিতে প্রতিদিন ইউক্রেন বাহিনীর ৬০০ থেকে ১ হাজার সেনা নিহত হচ্ছে। তারা তাদের সম্মুখভাগে সামরিক প্রশিক্ষণ না পাওয়া রিজার্ভ সেনাদের ব্যবহার করছে। যুদ্ধে তারা টিকতে না পেরে পিছু হটলেই ইউক্রেন সেনারা তাদের গুলি করে হত্যা করছে।’

রুশ কমান্ডার জেনারেল হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, ‘ইউক্রেন সেনারা দূর থেকে বিদেশি সমরাস্ত্র- বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র, কামান এবং মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করছে। এ জন্য খেরসন অঞ্চলের শিল্প স্থাপনা ধ্বংস হতে পারে। সে সঙ্গে ব্যাপক মাত্রায় বেসামরিক লোকজনও হতাহত হতে পারে। সে কারণে রুশ বাহিনী এই গোলাবর্ষণ বেশি সময় সহ্য করবে না। যেহেতু খেরসন শহরের আশপাশের অবস্থা খুবই উত্তেজনাকর, সেহেতু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।’ তবে সেই কঠিন সিদ্ধান্তটি কী- তা তিনি পরিষ্কার করেননি। জেনারেল সুরোভিকিন শুধু ইউক্রেনের সরকারকে ‘ক্রিমিনাল সরকার’ মন্তব্য করে বলেন, ‘তারা ইউক্রেনের জনগণকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। আমরা চাই ইউক্রেন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকুক- যারা পাশ্চাত্য এবং ন্যাটো জোটের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে এবং রাশিয়ার প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন হবে।’

সর্বশেষ খবর