বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

আল-আকসায় ঢুকে উসকানি ইসরায়েলি কট্টরপন্থি মন্ত্রীর

আল-আকসায় ঢুকে উসকানি ইসরায়েলি কট্টরপন্থি মন্ত্রীর

জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে ঢুকে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন ইসরায়েলের ডানপন্থি নেতা ইতামার বেন গভির। গতকাল পরিদর্শনের পর বেন গভির টুইটারে লিখেছেন, এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। হামাস যদি মনে করে যে আমাকে হুমকি দিলে আটকাতে পারবে, তাহলে তাদের বোঝা উচিত সময় পরিবর্তন হয়েছে। বেন গভির দীর্ঘদিন ধরে জেরুজালেমের পবিত্র স্থানে ইহুদিদের প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়ে আসছেন, যা ফিলিস্তিনিরা উসকানিমূলক এবং ইসরায়েলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সম্ভাব্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করে। আল-জাজিরা জানায়, তার সফর উপলক্ষে কম্পাউন্ডের মধ্যে ব্যাপক সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়। ফিলিস্তিনিরা বরাবরই আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের এ ধরনের প্রবেশকে ‘উসকানি’ বলে আখ্যায়িত করে থাকে। ফলে তার এই অনাধিকার চর্চা নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এদিকে গাজার সশস্ত্র সংগঠন হামাস হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, বেন গভিরের এ সফর রেড লাইন অতিক্রম করেছে। আর ফিলিস্তিনিরা শঙ্কা করছে, এভাবে ইহুদিদের বাধাহীন প্রবেশের কারণে আস্তে আস্তে এ কম্পাউন্ড ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহুর আরবি ভাষার মুখপাত্র ওফির জেন্ডেলম্যান জানিয়েছেন, বেন গভিরের আল-আকসা সফরের পর ওই এলাকা স্থিতিশীল রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কোনো সংঘাত না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে পরিদর্শনে যান তিনি। একদম ভোরের দিকে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তারপরেও এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে বেন গভিরকে উগ্রবাদী আখ্যা দিয়ে মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, এ সফর নজিরবিহীন উসকানি সৃষ্টি করেছে এবং এর ফলে সংঘাত আরও জোরদার হতে পারে।

আল-আকসার ইমামকে তুলে নিয়ে গেল ইসরায়েলি গোয়েন্দারা : মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদের গ্র্যান্ড খতিব ও ইমাম শায়খ ইকরামা সাইদ সাবরিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সদস্যরা। সোমবার তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। নাম না প্রকাশের শর্তে শেখ ইকরামা সাবরির পরিবারের এক সদস্য আনাদোলুকে বলেন, পূর্ব জেরুজালেমের আল-সুহানেহতে অবস্থিত ইমামের বাড়িতে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা। কোনো কারণ না দেখিয়েই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে যায় তারা।

 তবে আল-আকসার ইমামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

শায়খ ইকরামা সাবরি ইসরায়েলি দখলদারদের সমালোচনা করে প্রায় বিভিন্ন বক্তব্য দেন। এ কারণে আগেও তাকে একাধিকবার আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম অধিগ্রহণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানেই আল-আকসা মসজিদ অবস্থিত। তবে এটিকে কখনো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃতি দেয়নি।

সর্বশেষ খবর