গুপ্তচরবৃত্তি এবং নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মস্কোতে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাসের ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে রাশিয়া। গতকাল দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি এ তথ্য জানিয়েছে। এই পদক্ষেপ ইউক্রেনকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের ভূমিকার বিরুদ্ধে ক্রেমলিনের ক্ষোভের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মস্কোর এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সরকার এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনকে পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি বৈঠক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে মস্কো এ ঘোষণা দিল। এফএসবি জানিয়েছে, তাদের কাছে নথি রয়েছে যে, যুক্তরাজ্য পূর্ব ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে একটি দলকে ‘রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন’ করতে দায়িত্ব দিয়েছিল। যাতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়ার কৌশলগত পরাজয় নিশ্চিত করা যায়। রুশ গোয়েন্দা সংস্থা ব্রিটিশ কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে যে তথ্য পেয়েছে তা নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ মনে করছে রাশিয়া। এফএসবি বলছে, প্রকাশিত তথ্যগুলো রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
ব্রিটিশ অধিদপ্তর কর্তৃক মস্কোতে পাঠানো কূটনীতিকদের কার্যকলাপ বিবেচনা করার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের প্রদত্ত নথির ভিত্তিতে এবং লন্ডনের গৃহীত অসংখ্য অবন্ধুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় ওই ছয় সদস্যের স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। মস্কোতে ব্রিটিশ দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের কার্যক্রমে গুপ্তচরবৃত্তি এবং নাশকতার লক্ষণ পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা।
রুশ গণমাধ্যমগুলোতে ওই ছয় কূটনীতিকের ছবিসহ নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে তাদের ওপর নজরদারির বিষয়টিও উঠে আসে। তাদের একজন ব্রিটিশ কূটনীতিকের কারও সঙ্গে দেখা করেছেন বলে একটি গোপন ভিডিও প্রচার করা হয়।