দক্ষিণ দিনাজপুরে ডাইনি অপবাদে হাত-পা বেঁধে এক আদিবাসী মহিলাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন বেশির ভাগ মানুষ। এ ধরনের ঘটনা সেখানে প্রথম নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু মাসে এরকম প্রায় পাঁচটি ঘটনা ঘটেছে সেখানে। বীরভূমের বোলপুরে ডাইনি সন্দেহে একই পরিবারের চার মহিলাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরে আবার ডাইনি সন্দেহে পিটিয়ে খুন করা হয় এক বৃদ্ধাকে। নৃশংসতায় পিছিয়ে নেই পুরুলিয়া, বর্ধমানও। জেটগতির যুগে এ ধরণের বর্বরোচিত ঘটনায় প্রশ্নের মুখে বাংলার শিক্ষা ও সংস্কৃতি।
রাজ্যে ডাইনি অপবাদে একের পর এক খুন, হামলার ঘটনায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সমাজের বিভিন্ন মহলের বিশিষ্টরা। তাদের মত, মানুষকে আরো সচেতন করতে উদ্যোগী হতে হবে প্রশাসনকেই।
রাজ্যে কুসংস্কারের জন্য কার্যত প্রশাসনকেই দায়ী করলেন সাহিত্যিক বোলান গঙ্গোপাধ্যায়। এই ধরণের ঘটনা রুখতে যে ধরণের সামাজিক চেতনা বা আন্দোলনের দরকার তা এখন অমিল বলে দাবি বিশিষ্ট সাহিত্যিকের। কুসংস্কার একমাত্র প্রশাসন পাশে দাঁড়ালেই প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন নারী আন্দোলন কর্মী শাশ্বতী ঘোষ।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ অক্টোবর ২০১৫/শরীফ