একটা রথযাত্রায় বদলে গিয়েছিল বিজেপি'র চেহারা। সংসদে দুটো আসন থেকে একেবারে দিল্লির মসনদ। আদভাণীর সেই রথযাত্রার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপির কর্মকর্তারা। এভাবেই নাকি বাংলার মাটিতে গেরুয়া নিশান ওড়াতে চায় বিজেপি। বিধানসভা ভোটের আগে এরাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ চষে বেড়াবে বিজেপির রথ। তবে রথ কত জোরে ছুটবে তা অনেকটাই নির্ভর করছে বিহার ভোটের ফলের ওপর।
বিজেপি সূত্রে খবর, উত্তরের আলিপুরদুয়ার থেকে দক্ষিণে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত যাবে প্রচারের রথ। রথযাত্রার বিভিন্ন পর্যায়ে রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের প্রতিটিতেই দলীয় পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি নেতারা এরাজ্যে এসে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলাবেন। বিজেপি নেতৃত্বের আশা, বিধানসভা ভোটের আগে বাংলায় এই রথযাত্রার মাধ্যমে বিশাল জনজাগরণ সৃষ্টি করবে তারা।
আদভাণীর রামরথযাত্রা জুড়ে ছিল হিন্দুত্বের হিড়িক। এক্ষেত্রেও কি বাংলায় জনজাগরণ তৈরি হবে হিন্দুত্বের ভিত্তিতে? তার ব্যাখ্যা অবশ্য বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে মেলেনি। কিন্তু রথযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে ইতিমধ্যেই সংশয় তৈরি হয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরমহলে। দলের একটা বড় অংশের মতে, জাতপাতের যে রাজনীতি উত্তরপ্রদেশ, বিহার, দিল্লি বা রাজস্থানে চলে, পশ্চিমবঙ্গে তা খাটে না।
সংশয় নিয়েও রথযাত্রার জন্য তৈরি থাকতে হচ্ছে বিজেপির রাজ্য নেতাদের। কারণ বাংলায় গেরুয়া রথ ছোটানোর পরিকল্পনা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক আছে, তাতে অমিত শাই রথযাত্রার সূচনা করবেন। তবে সবকিছু নির্ভর করছে বিহার ভোটের ফলের ওপর। বিহারে মোদি রথ মুখ থুবড়ে পড়লে, বাংলাতেও কি হারিয়ে যাবে অমিত রথ?
সূত্র: ২৪ ঘণ্টা
বিডি-প্রতিদিন/ ০৩ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা