এক সময় ক্রিকেটের ২২ গজে দাপিয়ে বেড়ানো 'বেহালার ছেলেটা' আজ ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের চেয়ারম্যান। দিন কয়েক আগেই বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার তুলে নিয়েছেন তিনি। বাংলার 'মহারাজ' সকলের প্রিয় 'দাদা' সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে গর্বিত প্রতিটি বাঙ্গালী। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই শাল পাতায় সুনিপুন দক্ষতায় প্রিয় 'দাদা'র প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুললো পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার জয়পুরের দিগপাড় গ্রামের ২২ বছর বয়সী রুপম রায়। যা ইতিমধ্যে নেট দুনিয়ায় 'ভাইরাল' তো বটেই, পৌঁছে গেছে সৌরভ গাঙ্গুলীর কাছেও। রুপমের এই শিল্প কর্ম দেখে নাকি অভিভূত সৌরভও।
রুপম রায়ের বাবা তরুণ রায় পেশায় কৃষক। অর্থাভাবে স্নাতক পাশের পর ছেলেকে আর পড়াতে পারেননি। একেবারেই ছোটো থেকেই আঁকাঝোকায় ঝোঁক রুপমের। কোন রকম প্রথাগত শিক্ষা ছাড়াই বিভিন্ন সময়ে শাল পাতা কেটে দেবী দুর্গা, লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, বিবেকানন্দ, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছবি তৈরী করেছে। ঐ সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে 'ভাইরাল' রয়েছে।
সম্প্রতি বাংলার সৌরভ গাঙ্গুলী ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হতেই শাল পাতায় ব্লেড দিয়ে কেটে প্রিয় 'দাদা'র প্রতিকৃতি তৈরী করে সে। যা ফেসবুকে পোস্ট হতেই অনেকের নজর কাড়ে। এই কাজের সূত্রে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে কলকাতায় দেখা করার সুযোগ মেলে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামের স্বভাব শিল্পী রুপম রায়ের। শাল পাতায় নিজেকে দেখে খুশি মহারাজ স্বয়ং। গত ২৫ অক্টোবর ফের কলকাতায় এসে 'প্রিন্স অফ কলকাতা'র হাতে ঐ শাল পাতা কেটে তৈরী ফ্রেম বন্দী ঐ ছবি তুলে দেয় রুপম।
রুপম রায় জানয় সৌরভের সঙ্গে দেখা হওয়ার মুহূর্তটি তার কাছে 'স্বর্গে' পৌঁছে যাওয়ার মতো। খুব সহজেই তাকে নিজের করে নিয়েছেন বলেও জানায়। একই সঙ্গে সে জানিয়েছে, এই কাজে তার প্রথাগত শিক্ষা নেই। সাধ থাকলেও সাধ্যের অভাবে আর্ট কলেজে ভর্তির সুযোগ মেলেনি। আপন খেয়ালে এতো দিন ভালোবেসে সে এই কাজ করে গেছে। আর প্রতিটি কাজই তার নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে মানুষের বাহবা কুড়িয়েছে। তবে জীবনের সব চেয়ে পাওয়া সৌরবের কাছে তার সৃষ্টি পৌঁছে দিতে পেরে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ