পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তত একে অপরকে লক্ষ করে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলছে। কখনও কখনও সেই আক্রমণ ব্যক্তিগত স্তরেও পৌঁছে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ফের লাগামছাড়া মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
বুধবার পুরুলিয়ায় একটি জনসভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে শালীনতার মাত্রা ছাড়ালেন। কোনোরকম রাখঢাক না করেই মমতাকে ‘বারমুডা’ পরার পরামর্শ দিয়েছেন দিলীপ। আর এতেই উত্তপ্ত রাজ্যের রাজনীতি।
কী বলেছিলেন দিলীপ? ঈুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান বিধানসভা কেন্দ্রে পারসি মুর্মুর ভোট প্রচারণায় উপস্থিত থেকে মমতার বাম পায়ের আঘাত নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে দিলীপ জানান ‘প্লস্টার কাটা হয়ে গেল। ফের ব্যান্ডেজ হয়ে গেছে। আর পা তুলে তুলে সবাইকে দেখাচ্ছেন। শাড়ি পড়ে আসেন, তার একটা পা ঢাকা, আর একটা পা খোলা। আমি কোনোদিনই এরকমভাবে শাড়ি পরতে দেখিনি। যদি পা’টা বের করে রাখবেন তবে শাড়ি কেন? বারমুডা পরতে পারেন। তাহলে পরিষ্কার দেখা যায়।’
এখানেই থেমে থাকেননি দিলীপ ঘোষ। তিনি আরও বলেন ‘মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেলে বেশিদিন বাপের বাড়ি থাকতে নেই।’ এই কথাতেও রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন ‘বাংলা মেয়ের দশ বছর হয়ে গেছে। এবার আমরা বিদায় জানাব।’
দিলীপের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ‘বাঁদর’ বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষকে পাগল আখ্যা দিয়ে তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের সাবেক পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র বলেছেন ‘আলো মানে ফিলিপ, আর পাগলা মানে দিলীপ।’
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে নিজের মনোনয়ন পত্রজমা দিয়ে ফেরার পথে পা’য়ে আঘাত পান মমতা। ওই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন মমতা। যদিও নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টে কোনোরকম ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলেনি। কমিশনের অভিমত, ওটা ছিল নিছকই একটি দুর্ঘটনা।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ