শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা
শুক্রবারের বিশেষ প্রতিবেদন

বগুড়ায় সৌদি আরবের খেজুর চাষ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে চাষ হচ্ছে সৌদি খেজুর। সৌদি আরবের নানা জাতের খেজুর গাছের বাগান গড়ে তুলেছেন নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের তুলাশন ধুন্দারের আবদুর রউফ হিরো। বাগানে প্রায় ৪ শতাধিক খেজুর গাছ রয়েছে। গাছগুলোর মধ্যে কয়েকটি গাছে ফল পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে বিএফএ পাস করেন আবদুুর রউফ। এরপর বেকার জীবনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ১৯৯৯ সালে সৌদি আরবে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ডিজাইনার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। সেখানে মরুভূমিতে খেজুরের গাছ দেখে তিনি পরিকল্পনা করেন বাংলাদেশের মাটিতে খেজুর চাষ করার। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহের ভালুকায় মোতালেব হোসেনের খেজুর বাগান তাকে অনুপ্রাণিত করে। ২০০৮ সালে দেশে ফেরার সময় আবদুুর রউফ সৌদি আরবের উন্নত জাতের খেজুর সঙ্গে নিয়ে এসে তার বীজ থেকে শুরু করেন খেজুরের বাগান। তিন বিঘার বেশি জমি নিয়ে বাগান তৈরি করেন। নাম দেন মা সৌদি খেজুর বাগান ও নার্সারি। ২০১৩ সালে বাগানের ৮টি গাছে খেজুর ধরে। সেসব খেজুর দেখতে এলাকাবাসী ভিড় করত। খেজুরগুলো বড় হলে স্থানীয়দের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছর সৌদি খেজুর বাগানে প্রায় ২৫টি গাছে ফুল ধরে। ফুলগুলো ঝরে গিয়ে ফলও ধরে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেসব ফল নষ্ট হয়ে যায়। সাধারণত সৌদি খেজুর গাছে মার্চ মাসে ফুল ধরে এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পেকে যায়। আবদুর রউফ যখন খেজুর বাগান তৈরি করেন তখন তাকে নানা জনেই নানা কথা বলত। কেউ বলত মরুভূমির খেজুর সমতলভূমিতে হবে না। কেউ বা আবার পাগলও বলত। কিন্তু এখন খেজুর ধরায় আর কেউ কথা বলছে না। বরং এখন খেজুর বাগান দেখতে ভিড় করছে। সৌদি আরবের খেজুর চাষি আবদুর রউফ হিরো জানান, এ পর্যন্ত বাগান তৈরি করতে প্রায় ১০ লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। কিছু চারা তৈরি করা হয়েছে। গত বছর থেকে খেজুরের গাছে খেজুর আসতে শুরু করায় মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। বাগানে চার শতাধিক খেজুর গাছ রয়েছে। আগামী বছর আরও বেশি গাছে খেজুর আসবে। তিনি জানান, বিভিন্নজাতের মধ্যে বেশি চাষ করা হয়েছে সৌদি আরবের শাখাই নামের খেজুর।

সর্বশেষ খবর