সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, ‘শুধু ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করলে হবে না। এসব অনিয়মে জড়িতদের দৃশ্যমান শাস্তির আওতায় আনতে হবে। জাতীয় সংসদে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তার বাইরেও আরও ঋণখেলাপি আছেন। যারা হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে ঋণ ফেরত দিচ্ছেন না তাদের তালিকাও প্রকাশ করা উচিত। সব খেলাপির জামানতসহ তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা উচিত। একটি কঠোর বার্তা না দিলে খেলাপি ঋণ কমানো যাবে না।’ বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মির্জ্জা আজিজ বলেন, ‘ঋণখেলাপিদের প্রচলিত আইনের আওতায় জেল-জরিমানা করা যায়। দীর্ঘদিন থেকে এই খেলাপি নিয়ে কথা হচ্ছে। নানা সময়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কিছু করা হয়নি। এখন দৃশ্যমান শাস্তি দিলে খেলাপিদের কাছে কড়া বার্তা যাবে। রাষ্ট্রীয় অর্থ লুণ্ঠনকারীদের কঠোর বিচার না হলে ব্যাংক খাতে কোনো উন্নতি হবে না।’ তিনি বলেন, ‘শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রচলিত যে আইন আছে প্রয়োজনে তা সংস্কার করতে হবে। ব্যাংক থেকে অর্থ নিয়ে ফেরত দেবে না তা হতে পারে না। তালিকা প্রকাশ এর আগেও করা হয়েছিল। এবার ৩০০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এর আগে যাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল তাদের শাস্তি দিলে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেত না। এখন আমরা দেখছি প্রতি বছর খেলাপি ঋণের সঙ্গে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পরিমাণও বাড়ছে। খেলাপিদের প্রতি নমনীয় হওয়ার ফল এটা। বোর্ড আত্মীয়স্বজনদের ঋণ দিয়ে খেলাপির পরিমাণ বাড়িয়েছে। এসব বোর্ড সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আরও কঠোর নজরদারি বাড়াতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া খেলাপি ঋণের পরিস্থিতি উন্নতি হবে না।’