বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

দুর্যোগকালে মানুষের পাশে ছিলাম

-পীর মিসবাহ

দুর্যোগকালে মানুষের পাশে ছিলাম

সুনামগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য, বিরোধী দলের হুইপ ও জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন, করোনা মহামারী এবং এক মাসের মধ্যে তিনবারের বন্যায় মানুষ যখন চরম দুর্ভোগে   পড়েন তখন দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। প্রশাসনসহ বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। করোনার শুরুতেই আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। করোনাকালের শুরু থেকে বন্যার সময়সহ সব সময়ই মানুষের মাঝেই ছিলাম, আছি। সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পর্যাপ্ত ত্রাণ, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি মানুষের দুয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, একদিকে যখন বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জনজীবন অচল-প্রায়, ঠিক তখন হাওর ভাটির জেলা সেই সময়টাতে তিন দফা পড়ে বন্যার কবলে; এই দুর্যোগের এমন ঘনঘটায় দুর্গত মানুষকে বিপদে ফেলে যাইনি। ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর সুনামগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনে ১০০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করি। মার্চেই সিভিল সার্জনকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ১২ এপ্রিল সুনামগঞ্জে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ক্রমেই তা বাড়তে থাকে। সম্পূর্ণ নতুন এক মহামারীর ভয়ে মানুষ যখন আতঙ্কিত তখনই এই রোগের বিস্তার প্রতিরোধে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করি। তিনি বলেন, পরবর্তীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে বেশি করে টেস্টের প্রয়োজন দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত অর্থায়নে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে কভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ বুথ চালু করি। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর শুরুর দিকেই হাওর-ভাটির জেলা হিসেবে খ্যাত সুনামগঞ্জে বছরের সবচেয়ে বড় কর্মযজ্ঞ বোরো ধান কাটা শুরু হয়। লকডাউনের কারণে দেখা দেয় ধানকাটা শ্রমিক সংকট। কৃষকের কষ্টের ফসল গোলায় ওঠানো নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এমনকি নদীভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ থেকে রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোর উন্নয়নে ভূমিকা অব্যাহত রেখেছি। মানুষের জন্য রাজনীতি করি। মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ সহযোগিতাও পেয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর