অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় আমাদের একটি সুসমন্বিত বৈশ্বিক কার্যক্রম গ্রহণ করা দরকার। জাতিসংঘ এ ক্ষেত্রে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ কঠিন যাত্রায় এ-৭, এ-২০, ওইসিডি এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে কানাডার উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, জাতিসংঘের উপ-সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মোহাম্মদ এবং জামাইকার অর্থ ও পাবলিক সার্ভিস মন্ত্রী নাইজেল ক্লার্কের সঙ্গে জাতিসংঘ আয়োজিত অর্থমন্ত্রীদের এক যৌথ ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সভার সামগ্রিক উদ্দেশ্য ছিল কভিড-১৯ সংকটের ভয়াবহ পরিণতি থেকে মুক্তি পেতে নীতিগত বিকল্পগুলোর একটি কার্যকর তালিকা নিয়ে আলোচনা এবং দীর্ঘ মেয়াদে একটি স্থিতিশীল ও টেকসই বৈশ্বিক আর্থিক আর্কিটেকচার তৈরি। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা গ্রুপ-১-এ সহ-নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে মিসর, জাপান ও স্পেনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈদেশিক অর্থ ও রেমিট্যান্স, চাকরি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশের বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি উন্নয়নশীল এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অগ্রাধিকারগুলোর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য এ গ্রুপটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিনিয়োগ, এলডিসি এবং উত্তরণরত দেশগুলোর জন্য সরকারি উন্নয়ন সহায়তা, এসডিজির অর্থায়ন ইত্যাদিসহ বাস্তব ক্রিয়া ও নীতিমালার সুপারিশ করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলো ০.৭% ওডিএ প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে, যা এখন কভিড-১৯ পুনরুদ্ধারের সঙ্গে সহায়তা করছে।
