দুর্গাপূজার প্যান্ডেল আছে, প্রতিমাও আছে, আছে ঝকমারি আলোর রোশনাই। কিন্তু এসব দেখতে নেই কেবল সেই চিরচেনা ভিড়। কারণ সবই চলছে অনলাইনে। অনলাইনেই হচ্ছে পূজা, ভার্চুয়ালি দেওয়া হচ্ছে অঞ্জলি, দেখা হচ্ছে প্রতিমা। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে একদিকে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি পূজামন্ডপকে ‘নো অ্যান্ট্রি জোন’ বলে কলকাতা হাই কোর্টের ঘোষণা দেওয়া এবং তা পালন করতে পূজা উদ্যোক্তাদের সক্রিয় ভূমিকার ফলে মহাসপ্তমীর সন্ধ্যা থেকে অষ্টমীর বিকাল পর্যন্ত ছিল দর্শকশূন্য শহরের রাজপথ।
করোনার সংক্রমণ এবং বিরূপ প্রকৃতির কারণে গত শুক্রবার মহাসপ্তমীতে উত্তর কলকাতার হাতিবাগান সর্বজনীন, চালতাবাগান থেকে শুরু করে দক্ষিণ কলকাতার নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ, দেশপ্রিয় পার্ক, সুরুচি সঙ্ঘ- সব জায়গায়তেই প্রতিমা দর্শন বা থিমের কারুকাজ দেখতে সেই চেনা ভিড় ছিল না। কলেজ স্কোয়ার, বেলেঘাটা ৩৩ পল্লী, ত্রিধারা সম্মিলনী, মহম্মদ আলী পার্ক, কাশী বোস লেন সর্বজনীনের মতো দুর্গাপূজা মন্ডপগুলোতেও প্রতিমা দর্শন এক প্রকার বন্ধই ছিল।
কলকাতায় ঠাকুর দেখতে এসে ম্যাডক্স স্কোয়ার দুর্গাপূজা কমিটির মাঠে সময় কাটাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু করোনার কথা মাথায় রেখে সেখানেও এবার ভার্চুয়াল দর্শন অর্থাৎ ইউটিউবের মাধ্যমে পূজার কয়টা দিন আরতি, পুষ্পাঞ্জলি এবং পূজার অন্যান্য আচার পালন দেখানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই ব্যবস্থা করা হয়েছে সুরুচি সঙ্ঘ, মুদিয়ালি ক্লাব, ত্রিধারা সম্মিলনী, সন্তোষপুর লেক পল্লীর ক্লাবের পূজায়ও।গতকাল মহাষ্টমীর পূজা, সন্ধিপূজা ও কুমারী পূজা সরাসরি সম্প্রচার করা হয় রাষ্ট্রীয় চ্যানেল দুরদর্শনের মাধ্যমে। এ ছাড়া বেলুর মঠের নিজস্ব ওয়েব লিঙ্কেও এ পূজা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।
করোনার কথা মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জির কালীঘাটের বাড়ি-কাম-অফিসেও বিজয়া দশমীর দিন বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছে।