সোমবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

সংক্রমণ তিন শতাংশ কমানোই এখন চ্যালেঞ্জ

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৮৩৫, মৃত্যু ২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংক্রমণ তিন শতাংশ কমানোই এখন চ্যালেঞ্জ

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হার গত কয়েকদিন ধরে ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে অবস্থান করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামলে তাকে নিরাপদ সংক্রমণ ধরা যায়। সেই  মোতাবেক বাংলাদেশে সংক্রমণ হার আর ৩ শতাংশ কমলেই স্বস্তির দেখা মিলবে। আর এটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সেই সুফল পেতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে এবং ভাইরাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তা ধরে রাখতে হবে। এ ব্যাপারে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর সাবেক প্রধান  বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সংক্রমণ হার ৫ শতাংশের নিচে নামলেই হবে না, পরপর চার সপ্তাহ এই হার বজায় থাকতে হবে। এ জন্য কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে সবাইকে। মনে রাখতে হবে, সংক্রমণ কমে গিয়ে আবারও বাড়তে পারে। আর ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধিই আমাদের ভ্যাকসিন।

সংক্রমণ হার ৩১ শতাংশের বেশি থাকায় গত ৩ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৪ হাজার ২৪৯টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৩৫৬ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সংক্রমণ ৮ শতাংশের নিচে নামায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৮৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে মাত্র ৮৩৫ জনের দেহে। মাস্ক ব্যবহার, সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণ দ্রুত কমে যাবে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৫২ দিন পর গত ১৫ ডিসেম্বর সংক্রমণ হার আবারও ১০ শতাংশের নিচে নামে। গত পরশু এই হার নেমে আসে ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে, যা ১১ এপ্রিলের

পর সর্বনিম্ন। গতকাল আবারও কিছুটা বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ সময় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮৩৫ জন। এখন পর্যন্ত মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ১৬ হাজার ১৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের ও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৭৮ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৭ হাজার ৬২৬ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ৫৯৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৭ জনের মধ্যে ১৬ জন ছিলেন পুরুষ ও ১১ জন নারী। সবার মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ১৯ জন ছিলেন ষাটোর্ধ্ব, পাঁচজন পঞ্চাশোর্ধ্ব ও তিনজনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে ১৫ জন ঢাকা, চারজন রাজশাহী, তিনজন রংপুর, দুজন করে সিলেট ও রংপুর এবং একজন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণের তথ্য জানানো হয় ও ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

সর্বশেষ খবর