রবিবার, ৩০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজশাহীর বাঘার আম যাচ্ছে ইংল্যান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর বাঘার আম যাচ্ছে ইংল্যান্ডে

ইংল্যান্ডে যাচ্ছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সুমিষ্ট আম। শুক্রবার বিকালে বাঘা উপজেলা থেকে আম রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাতেই আম চলে গেছে রাজধানী ঢাকায়। এরপর অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে ইংল্যান্ডে আম পাঠানো হবে। আর এটি হচ্ছে বিদেশে আম রপ্তানির প্রথম চালান। করোনা পরিস্থিতিতে নানা বিধিনিষেধের মধ্যেও বিদেশে আম রপ্তানি শুরু হওয়ায় স্থানীয় আমচাষিদের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে। ঢাকার ‘ফুড অ্যান্ড ভেজিটেবল’ এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়শন এই আম রপ্তানিতে সহযোগিতা করছে। তাদের মাধ্যমে আমের প্রথম চালান ইংল্যান্ডে পাঠানো হচ্ছে। প্রথম চালান হিসেবে বাঘার পাকুড়িয়া থেকে ইংল্যান্ডে পাঠানো হচ্ছে তিন মেট্রিক টন খিরসাপাত (হিমসাগর) আম। বাঘার কনট্রাক্ট ফারমার অ্যাসোসিয়শন সভাপতি সফিকুল ইসলাম ছানা জানান, করোনো পরিস্থিতির মধ্যেও বিদেশে আম রপ্তানির বিষয়টি তাদের কাছে অনেক স্বস্তির। গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে কঠোর লকডাউন ছিল। তাই গত মৌসুমে আম পাঠানো সম্ভব হয়নি। এ বছর চাষিরা বিদেশে আম পাঠাতে পারছেন। এতে অনেকেই উৎসাহিত হবেন। ফলে বেশি করে আম বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা যাবে। এতে স্থানীয় কৃষকরা লাভবান হবেন এবং অর্থনীতির চাকাও সচল হবে। সফিকুল ইসলাম ছানা বলেন, বাঘার ২০ সফল আমচাষি তাদের সঙ্গে আছেন। বিদেশে আম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাদের এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী কৃষি সম্পসারণ অধিদফতর আমচাষিদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করেছে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, আম রপ্তানির জন্য এরই মধ্যে তারা ২০ জন চাষিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। পরে আম রপ্তানির জন্য তাদের তালিকাভুক্ত করেন। এরপর বাগানে উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদিত ও ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত আমের নমুনা ঢাকা বিএসটিআই ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এরপর বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিরূপ আবহাওয়ায় চাষ কঠিন হলেও যাতে কোনো ধরনের পোকার আক্রমণ না ঘটে সে জন্য স্থানীয় আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা ‘ফ্রুট ব্যাগিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে আম চাষ করেছেন। এতে খরচ বাড়লেও একদিকে আমের গুণগত মান বাড়ছে, অন্যদিকে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা বেশি দাম দিয়েও আম কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। রাজশাহীর চারঘাট-বাঘার সুমিষ্ট আমের খ্যাতি আছে বিশ্বজুড়েই। প্রতি বছর নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অন্য উপজেলার তুলনায় চারঘাট-বাঘায় গুণগত মানের আম সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে। এখানকার আম আরও উন্নত পদ্ধতি অর্থাৎ ফ্রুট ব্যাগিংয়ের মাধ্যমে উৎপাদন হচ্ছে। তাই দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বছর বছর বিদেশেও রপ্তানি করা হয়ে থাকে। গত বছর করোনার কারণে না পারলেও এবার বিদেশে আম রপ্তানি শুরু করা গেছে।

সর্বশেষ খবর