বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

রঙিন তরমুজে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

রঙিন তরমুজে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন

এক মাচায় হলুদ। এক মাচায় সবুজ। আরেক মাচায় কালো। এভাবেই মাচায় মাচায় দুলছে রঙিন তরমুজ। আর এসব রঙিন তরমুজকে ঘিরে রঙিন স্বপ্ন দেখছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানের কৃষক আবদুল মতিন। তিনি দুই বিঘা জমিতে হাইব্রিড ব্ল্যাক বেবি,  মধুমালা ও  ল্যন ফাই জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। এর মধ্যে ল্যন ফাই জাতের তরমুজের ফলন খুব ভালো হয়েছে। এ জাতের তরমুজের বাইরের দিকটা সবুজ কিন্তু ভিতরের স্বাস হলুদ। খেতে সুমিষ্ট। ফলনও হয় অধিক। আর অসময়ে এসব জাতের তরমুজ চাষ করে কৃষকের লাভ হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি। এ জাতের তরমুজ মাচায় ও মাঠে চাষ করা যায়। পাত্রখোলা তরমুজ বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি তরমুজের ওজন হয়েছে ৩ থেকে ৪ কেজি করে। বিঘা প্রতি উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ পিছ। বিঘা প্রতি ৪০ হাজার করে দুই বিঘা জমিতে কৃষকের উৎপাদন খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। প্রতিটি তরমুজ বিক্রি করছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে। গত মে মাসে জমিতে বীজ রোপণ করা হয়েছিল। ৪৫ দিনে গাছে ফল ধরতে শুরু করে। আর ৬৫ দিনে বিক্রি শুরু হয়। তবে এ জাতের তরমুজ বারো মাসই চাষ করা যায়। কৃষক আবদুল মতিন বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজ চাষ করেছিলাম। প্রথম বছরেই এতো ভালো ফলন হবে এতটা আশা করিনি। দামও ভালো পাচ্ছি। চলতি মাসে ১ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। বাকিগুলো বিক্রি করে আরও দেড় লাখ টাকার মতো পাব। এতে খরচ বাদে আমার লাভ হবে ২ লাখ টাকার ওপরে। এলাকার অন্য কৃষকরাও ফলন দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।’জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুর বারী বলেন, ‘তরমুজ একটি লাভজনক ফসল। পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি রসালো ফল। আমরা অফসিজনে তরমুজ চাষের জন্য কৃষক আবদুল মতিনকে উদ্বুদ্ধ করেছিলাম। তাকে ল্যন ফাই ভ্যারাইটির বীজ দেই। ফলন খুব ভালো হয়েছে। জমি থেকেই অধিক দামে ফল বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তাই কৃষকরা পতিত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে এ জাতের তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।’

 

সর্বশেষ খবর