বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ওমিক্রনের ‘ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন’ চূড়ান্ত

স্বাস্থ্য অধিদফতর

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। এর জন্য একটি ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল এক ভার্চুয়াল বুলেটিনে এসব কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে, দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি ও বিএসএমএমইউয়ের   গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার ডেল্টা ধরনের পাশাপাশি অধিকতর সংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হচ্ছে। ওমিক্রনের কারণে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে। এর জন্য ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। সেটি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই অন্যান্য স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠানকে এটি দেওয়া হবে।’ গত সাত দিনে দেশে সামগ্রিকভাবে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ও শতকরা হিসাবে শনাক্তের হার একটু একটু করে বেড়েছে। ১৯ জানুয়ারি ৯ হাজার ৫০০ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং শনাক্তের হার ছিল ২৫ শতাংশের একটু বেশি। ২৫ জানুয়ারি রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৩৩ জন এবং শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এই সময়ে মোট রোগী ছিল ২১ হাজার ৬২৯ জন। এ বছরের জানুয়ারিতে ইতোমধ্যেই এ সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোগী ছাড়িয়েছে। এত বেশিসংখ্যক রোগী ছিল গত বছরের আগস্টে ২ লাখ ২৩ হাজারের বেশি, জুলাই মাসে ৩ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি এবং সেপ্টেম্বরে ৫৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। টিকা কার্যক্রম অব্যাহত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত ৯ কোটি ৫৪ লাখের বেশি মানুষ প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫ কোটি ৫৭ লাখের বেশি। আর বুস্টার ডোজের টিকা পেয়েছেন ১২ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ। নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল পর্যন্ত ১ কোটি ৩৬ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয় ১৭ লাখ ৪৬ হাজার শিক্ষার্থীকে। স্কুলগুলোতে টিকাপ্রাপ্তি নিয়ে সমস্যা নেই। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা মজুদ আছে।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ চাহিদা ঠিকমতো স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে পৌঁছে দিলে চাহিদা অনুযায়ী টিকা সরবরাহের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা আছে।’

সর্বশেষ খবর