শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

নদীর ধারে বস্তাবন্দি কিশোরী উদ্ধার

প্রতিদিন ডেস্ক

ঠাকুরগাঁওয়ে এক কিশোরীকে বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ভোরে শহরের টাংগন নদীর পাশ থেকে ওই কিশোরীকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার কিশোরীর নাম মাহফুজা আক্তার (১৫)। সে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার কবিরাজহাট এলাকার বিজয়পুর গ্রামের মোস্তফা কামালের মেয়ে। সে খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কওমি মহিলা মাদরাসায় কিতাব বিভাগের শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক মাস আগে মাহফুজা আক্তারকে লেখাপড়ার উদ্দেশে ঠাকুরগাঁওয়ের খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কওমি মহিলা মাদরাসায় ভর্তি করানো হয়। ভর্তির পর ঈদের ছুটি কাটিয়ে কয়েক দিন আগে মাদরাসায় ফেরে মাহফুজা। গত বুধবার রাতে মাহফুজাকে একদল যুবক কৌশলে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে নির্যাতন করে হত্যার উদ্দেশে হাত-পা বেঁধে বস্তায় ভরে শহরের টাংগন নদীতে ফেলে দেয়। কিন্তু বস্তা গড়িয়ে নদীর ধারে আটকে থাকে। বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয়রা বস্তাবন্দি অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্বজনদের অভিযোগ, মাহফুজাকে মাদরাসায় ভর্তির আগে গ্রামের বাড়িতে ফিরোজা নামে এক নারীকে বাসা ভাড়া দেওয়ার পর ওই নারী মাহফুজার বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে বিভিন্ন জনের কাছে ছড়িয়ে দেয়। আর সেই ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা চালায় একদল যুবক। তাদের হাত থেকে রক্ষায় গত ১৬ জুন মাহফুজাকে ঠাকুরগাঁওয়ে খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কওমি মহিলা মাদরাসায় ভর্তি করানো হয়। তার খোঁজখবর নিয়ে বুধবার রাতে একদল যুবক মাদরাসা এলাকায় এসে কৌশলে মাহফুজাকে ডেকে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাহফুজা আক্তার জানায়, ব্ল্যাকমেইল করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল একদল যুবক। তাদের সঙ্গে যেতে না চাইলে নির্যাতনের পর অচেতন করে বস্তাবন্দি করে তাকে নদীতে ফেলে যায়। মাদরাসার অধ্যক্ষ হজরত আলী বলেন, শিক্ষার্থীর পূর্বের ঘটনা পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। জানালে আমরাও সতর্ক থাকতাম তার বিষয়ে। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অপরাধীদের ধরতে চেষ্টা চলছে বলে জানান।

সর্বশেষ খবর