এবার রিজার্ভে টান পড়েছে ভুটানের। এ অবস্থায় দেশটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাঁচাতে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী যান, এক্সেভেটর ও বুলডোজারের মতো ভারী যান এবং কৃষি যন্ত্রপাতি বাদে সব যানবাহন আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণায় বাধ্য হয়েছে। সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স। ভুটানের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ১৫ লাখ গুলট্রামের (২০ হাজার ডলার) চেয়ে কম দামের ইউটিলিটি যানবাহন আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে এবং সেগুলো পর্যটনের কাজে ব্যবহার ও পর্যটনের উন্নয়নে ছাড় দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিশ্চিত করতে এই স্থগিতাদেশ কার্যকর করা হয়েছে। দেশটির দৈনিক পত্রিকা কুয়েনসেল জানিয়েছে, ভুটান এ বছরের জুন পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি যানবাহন আমদানি করেছে, যা রিজার্ভ হ্রাসের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি। আর দেশটির সংবিধান অনুযায়ী অন্তত ১২ মাস আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব সেই পরিমাণ রিজার্ভ রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত শুক্রবার থেকে কার্যকর হতে যাওয়া আমদানি নিষেধাজ্ঞা ছয় মাস পর রিজার্ভের অবস্থা বিবেচনায় পর্যালোচনা ও সংশোধন করা হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। জানা গেছে, করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ভুটানে জিরো কভিড নীতির কারণে গত দুই বছর ধরে বিদেশি পর্যটকের আনাগোনা নেই। এর মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে যে সংকট তৈরি করেছে, তার আঁচও লেগেছে দেশটিতে। ফলে এখন চীন ও ভারতের মাঝখানে অবস্থিত ৮ লাখেরও কম জনসংখ্যার এই দেশটি তেল ও শস্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। ভুটানের রয়্যাল মনিটারি অথরিটির গত মাসের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষে ৯৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারে নেমে এসেছিল, ওই বছরের এপ্রিলে যা ছিল ১৪৬ কোটি ডলার।
