সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মাস্ক কেনায় ২০০ কোটি টাকার অনিয়মে ব্যবস্থার সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাকালে স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক ‘কেএন-৯৫’ মাস্ক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনায় অনিয়মের ঘটনায় প্রায় ২০০ কোটি টাকার অডিট আপত্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। অডিট আপত্তিগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের কাছে হস্তান্তর করার সুপারিশ করা হয়। দুদকের তদন্তের মাধ্যমে এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিটি। এ ছাড়া সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনুপযোগী ও পরিমাণে কম কেএন ৯৫ মাস্ক সরবরাহ করায় আর্থিক  ক্ষতির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত ‘সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী। কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মো. আবদুস শহীদ, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, মনজুর হোসেন ও আহসানুল ইসলাম (টিটু) বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন। কমিটি সূত্র জানায়, ‘কভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রজেক্ট’-এর আওতায় ১২টি কার্যাদেশের ক্রয় প্রক্রিয়ায় প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্রয় প্রক্রিয়ায় অডিট আপত্তি দেয় বাংলাদেশ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের দফতর। বৈঠকে অযোগ্য ও অনভিজ্ঞ সরবরাহকারীর সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই), মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস ক্রয় করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, ডিজি হেলথ এবং সিএজির পরিচালক দ্বারা কমিটি গঠন করে তদন্ত করার সুপারিশ করা হয়। সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘কভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রজেক্ট’-এর ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের হিসাব সম্পর্কিত বাংলাদেশ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল-এর কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত অডিট আপত্তিগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মোকাবিলা ও চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং কেমিক্যাল রিএজেন্ট সংগ্রহের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ জন্য ‘কভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রজেক্ট’-এর ক্রয় কেলেঙ্কারির ঘটনা দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সরকারি কর্মকর্তারা গ্রেফতার হন।

সর্বশেষ খবর