শিরোনাম
সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কৃষি ও জ্বালানিতে ভর্তুকি বেড়ে ৩ গুণ

বরাদ্দ চেয়ে অর্থ বিভাগে চিঠি

শাহেদ আলী ইরশাদ

বেশি দামে জ্বালানি ও সার কেনার ফলে বছর শেষে এ দুটি খাতে বরাদ্দ বেড়ে তিন গুণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। জ্বালানি তেল আর সারের দাম বাড়ায় সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল ও সারের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। ফলে সংশোধিত বাজেটে বাড়তি বরাদ্দ চেয়ে এরই মধ্যে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দুটি।

বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ লাগবে খাদ্য উৎপাদনের জন্য কৃষি খাতের। নতুন করে আরও ৩০ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজটে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪৬ হাজার ২৪৭ কোটি টাকায়।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত সার কিনতে আমাদের ৪৬ হাজার কোটি টাকা লাগবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, টাকা দেওয়া হবে।’

এদিকে চলতি অর্থবছরে জ্বালানি তেলের জন্য কোনো বরাদ্দ না থাকলেও সংশোধিত বাজেটে জ্বালানি তেলের জন্য ১৯ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দ চেয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এলএনজি আমদানিতে সংশোধিত বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ১১ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। নতুন করে আরও ৫ হাজার টাকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ বিভাগে।

দ্বিগুণ বরাদ্দ চেয়েছে টিসিবি : সারা দেশের ১ কোটি নিম্নআয়ের মানুষকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ১১০ টাকা লিটার দরে সয়াবিন তেল বিক্রি করছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। কিন্তু এসব তেল কিনতে হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। অর্থাৎ লিটারে সরকারের ভর্তুকি যাচ্ছে গড়ে ৭৫ টাকা। এভাবে প্রতি মাসে ২ কোটি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করতে সরকারের ভর্তুকি যাচ্ছে ১৫০ কোটি টাকা। শুধু সয়াবিন তেলই নয়, ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ডাল চিনিতেও। আসছে রোজার মাসে ভর্তুকিমূল্যে বিক্রি হবে পিঁয়াজ, ছোলা ও খেজুর। চলতি ২০২২০-২৩ অর্থবছরের বাজেটে টিসিবির জন্য ৪ হাজার ২২০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বছরের শুরুতেই চাহিদা দেওয়া হয়েছে। তারপরও দাম কমবেশির কারণে প্রতি মাসে চাহিদা কমে-বাড়ে। তিনি আরও বলেন, পুরো অর্থবছরে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রির জন্য ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা লাগবে। বাজেটে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে আরও ৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থবিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর