মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
ইউপি নির্বাচন

নির্বাচনী অফিসে হামলা ভাঙচুর আহত ২২

প্রতিদিন ডেস্ক

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারণা অফিস ভাঙচুর এবং কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছেন। অন্যদিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সির্ন্দুনা ইউনিয়নের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় ২২ জন আহত হয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ভোলা : চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রতিদিন হামলা ও ভাঙচুরসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা অফিস ভাঙচুর এবং কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও মারধর করছে।

গত কয়েক দিনে শতাধিক কর্মী-সমর্থক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, রবিবার রাতে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর হাওলাদারের পক্ষের দুই শতাধিক হেলমেট পরিহিত কর্মী-সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন লিখনের বাড়ির সামনে ঘোষেরহাট বাজারের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায়। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে। সংঘর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর শতাধিক কর্মী-সমর্থক আহত হন। অপরদিকে নৌকা প্রতীকের ১৫ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে  জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ২৯ ডিসেম্বর নীলকমল, আমিনাবাদ এবং জিন্নাগড় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

লালমনিরহাট : হাতীবান্ধা উপজেলার সির্ন্দুনা ইউনিয়নের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা এবং প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত শনিবার রাতেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ও দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় চারজন আহত হন। গত দুই দিনে দফায় দফায় হামলার শিকার হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফসহ উভয় পক্ষের ২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হামলা ও নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নুরল আমিন।

হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম নির্বাচনী সহিংসতায় ২২ জন আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই গ্রুপই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে। নির্বাচনী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২৯ ডিসেম্বর ওই ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর