বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

চাকরি ছেড়ে সার তৈরিতে প্রকৌশলী

দিনাজপুর প্রতিনিধি

চাকরি ছেড়ে সার তৈরিতে প্রকৌশলী

শ্রম অনুযায়ী কাক্সিক্ষত বেতন না পাওয়ায় প্রকৌশলীর চাকরি ছেড়ে নিজ বাড়িতেই কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করেন। উৎপাদিত সার নিজের কৃষি কাজে ব্যবহারের পর বিক্রি করে প্রতি মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় করছেন। আবার কেঁচো বিক্রি করেও মাসে ৮-১০ হাজার টাকা আসছে। কিছু দিনের মধ্যেই তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন মাসে কেঁচো সার ও কেঁচো বিক্রি করে ৩৫-৪০ হাজার টাকা আয় করে সবার অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন নাঈম হুদা। তিনি দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।

নাঈম হুদা ২০১৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক শেষ করেন। চাকরি নেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উত্তরা ইপিজেডে। চাকরি করার সময় অনুধাবন করেন, এখানে যে সময় আর শ্রম দিতে হচ্ছে, সে অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন না। সিদ্ধান্ত নেন চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনের। ২০১৯ সালে বাড়িতে কমলা, মাল্টা ও মিশ্র ফলের বাগান করেন। পুকুরে করেন মাছ চাষ। ফলবাগানে রাসায়নিক সারের পাশাপাশি জৈব সারের প্রয়োজন হয়। তখন কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে দুই শতক জমিতে কেঁচো সারের প্রজেক্ট করেন। এতেই তার ভাগ্য ফিরে যায়।

নাঈম হুদা বলেন, এখন ছয় শতক জমিতে কেঁচো সারের খামার সম্প্রসারণ করেছেন তিনি। খামারে প্রতি মাসে ৪-৫ টন সার উৎপাদন হয়। প্রতি টন সার ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। আর খুচরা প্রতি কেজি বিক্রি করছেন ১৬-১৮ টাকা দরে। অনেক বেকার যুবক আমার কাছ থেকে কেঁচো নিয়ে বাড়িতে ক্ষুদ্র পরিসরে সার উৎপাদন করছেন। বৈকণ্ঠপুর গ্রামের কৃষক শাকিল ইসলাম বলেন, নাঈমের কাছ থেকে জৈব সার নিয়ে কলা বাগান, লালশাক খেতে দেওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। এ সার ব্যবহারে খরচ অনেক কম হয়েছে। চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা বলেন, উপজেলায় এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি ভার্মি কম্পোস্ট প্রকল্প চালু করেছি। নাঈম হুদা উদ্যোক্তা হিসেবে খুবই ভালো করছেন। তিনি ইতোমধ্যে সার ও কেঁচো বিক্রি করে নিজের ভালো অবস্থান তৈরি করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর