বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আতঙ্কের নাম বমি পার্টি

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে আতঙ্কে পরিণত হয়েছে কথিত ‘বমি পার্টি’। চক্রের সদস্যরা টার্গেটের শরীরে বিশেষ ধরনের ‘পিক’ ফেলে কৌশলে লুটে নিচ্ছে টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। নগরীর দশের অধিক স্পটে সক্রিয় রয়েছে কমপক্ষে পাঁচ ‘বমি পার্টি’ গ্রুপ। তাদের তৎপরতা রোধে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) প্রত্যেক থানাকে বিশেষ সতর্কতা থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সিএমপি’র মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পংকজ দত্ত বলেন, বমি পার্টির বিষয়ে সতর্ক থাকতে প্রত্যেক থানা পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের তৎপরতা রোধে প্রয়োজনে বিশেষ অভিযান চালানোর চিন্তা ভাবনা চলছে।

সিএমপি’র কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, কোতোয়ালির থানার তিনটি স্পটে বমি পার্টির সক্রিয়তার তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। এরই মধ্যে একটি চক্রকে গ্রেফতারের আওতায় আনা হয়েছে। আরও দুটি গ্রুপ আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতারের আওতায় আনতে পারব। জানা গেছে, শিকারের খোঁজে নগরীর বাণিজ্যিক এবং ব্যাংক পাড়ায় অবস্থান নেয় ‘বমি পার্টি’র সদস্যরা।  কেউ একাকি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বের হলেই ওই ব্যক্তিকে টার্গেট করে বমি পার্টির রেকি দল। তারপর টাগের্টের যাবতীয় তথ্য জানিয়ে দেয় ‘মিশন কমপ্লিট’ দলকে। পরে নির্জন কিংবা গণপরিবহনে উঠলে সুবিধা মতো সময়ে টার্গেটের গায়ে কলা এবং সেমাই সংমিশ্রিত বিশেষ পিক দেয় গ্রুপের এক সদস্য। তখন বমি পরিষ্কারের নাম করে টার্গেটের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় মোবাইল, মানিব্যাগসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। নগরীতে সক্রিয় রয়েছে কমপক্ষে এরকম ৫ বমি পার্টির চক্র। একেকটি গ্রুপে সদস্য রয়েছে ছয় থেকে আট জন। গ্রুপের সদস্যদের প্রায় সবাই বৃহত্তর ময়মনসিংহের অধিবাসী। নগরীর  কিংবা গণপরিবহনে উঠলে সুবিধা মতো সময়ে টার্গেটের গায়ে কলা এবং সেমাই সংমিশ্রিত বিশেষ পিক দেয় গ্রুপের এক সদস্য। তখন বমি পরিষ্কারের নাম করে টার্গেটের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় মোবাইল, মানিব্যাগসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। নগরীতে সক্রিয় রয়েছে কমপক্ষে এরকম ৫ বমি পার্টির চক্র। একেকটি গ্রুপে সদস্য রয়েছে ছয় থেকে আট জন। গ্রুপের সদস্যদের প্রায় সবাই বৃহত্তর ময়মনসিংহের অধিবাসী। নগরীর জুবলী রোড, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, নিউ মার্কেট, জিইসি মোড়, আন্দরকিল্লাহ, বন্দর টিলা, ইপিজেড, অলংকার মোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সক্রিয় রয়েছে তারা।

বমি পার্টির একটি চক্রকে গ্রেফতারে নেতৃত্ব দেওয়া সিএমপি’র কোতোয়ালি থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, ময়মনসিংহ জেলার রনি নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রামে বমি পার্টির সূচনা হয়। শুরুতে ছয় জনকে নিয়ে রনি লোকজনের কাছ থেকে টাকা পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিত। পরে তার গ্রুপ ভেঙে নতুন করে আরও একাধিক গ্রুপ সৃষ্টি হয়। এ চক্রের সদস্যরা টানা দুই একজনের কাছ থেকে লুট করে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান। ১০ থেকে ১২ দিন পর ফিরে এসে ফের অভিন্ন কায়দায় অপরাধে জড়িয়ে পড়েন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর