রবিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে ছদ্মবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি আবদুর রউফ (৪২) পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে এবং গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনের পর ছদ্মবেশে হয়ে যান মাজারসেবক। নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিলের তিশিখালী মাজারে থাকছিলেন। সেখান থেকেই মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা সোনাপুকুর এলাকার মৃত আতাহার আলীর ছেলে।

জানা যায়, ২০২০ সালে আত্মগোপনের আগে তার হালকা গোঁফ ছিল। সাড়ে তিন বছর পর তার বড় গোঁফের সঙ্গে লম্বা জটাধরা দাড়ি দেখা যায়। মাথার চুলও প্রায় দেড় ফুট লম্বা। গলায় বেশ কয়েকটি তসবির সঙ্গে আছে তাবিজ। হাতে বালার জটলা। নিজেকে গোপন রাখতে চেহারার এ পরিবর্তন। অবশেষে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চলনবিলের তিশিখালী মাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে রউফকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আবদুর রউফের প্রথম স্ত্রী আলেমা বেগম জানান, আত্মগোপনের পরিকল্পনা করে ২০২০ সালে গ্রামের দাদন কারবারির কাছে বাড়ি বন্ধক রেখে ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান রউফ। আত্মগোপনের পর থেকেই তিনি আর স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি।

নন্দীগ্রাম থানার এএসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, একটি মাদক মামলায় তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালে গ্রেফতারি পরোয়ানা রিসিভ করেন তিনি। গত সাড়ে তিন বছর অনেক সোর্স কাজে লাগিয়েও রউফের অবস্থান জানতে পারেননি। এর মধ্যেই তার বিরুদ্ধে আরেকটি মাদক মামলায় গেল ৪ জানুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা থানায় আসে। বেশ কয়েকজন সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারেন রউফ বর্তমানে তিশিখালী মাজারে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার সিংড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি রণবাঘায় প্রথম স্ত্রী রেখে আত্মগোপনের পর আসমা নামে এক জটা পাগলিকে বিয়ে করে তিশিখালী মাজারেই থাকতেন।

সর্বশেষ খবর