শিরোনাম
সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সরিষা খেতে আমবাগান

দিনাজপুর প্রতিনিধি

সরিষা খেতে আমবাগান

দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় আম হলেও নবাবগঞ্জ উপজেলায় বেশি মানসম্মত আম উৎপাদন হয়। উপজেলার গাছে গাছে এখন আমের মুকুলের সমারোহ।

ইতিপূর্বে নবাবগঞ্জে নিজেদের বসতবাড়িতে আম গাছ রোপণ করা হয়ে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে আমবাগান করেছেন। অনেক এলাকায় ফসলি জমিতে আমবাগান করতে দেখা গেছে। জমিতে এমনভাবে আম গাছ লাগানো হয়েছে, যাতে এর মধ্যে অন্য ফসলও চাষের সুযোগ থাকে। লাভজনক হওয়ায় অনেক আমবাগানের ভিতরে সরিষাসহ নানা ফসলের চাষ হচ্ছে।  চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১১ হাজার ৪৪৮ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ। নবাবগঞ্জ উপজেলায় যেসব আমের বাগান রয়েছে তার মধ্যে, হাঁড়িভাঙা, হিমসাগর, মিছরিভোগ, গোপালভোগ, আ¤্রপালি, ল্যাংড়া, আশ্বিনা ও বারি-৪ উল্লেখযোগ্য।

আমের মৌসুমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা এসে পাইকারি দরে আম কিনে নিয়ে যান। আবার বিভিন্ন এলাকার আম ব্যবসায়ীরা বাগান মালিকদের নিকট থেকে আমবাগানও ক্রয় করে থাকেন। আর বাগান ক্রয়-বিক্রয় চলে আম পাকা পর্যন্ত। এদিকে, আমের ঝড়ে পড়া রোধ এবং মানসম্মত আম উৎপাদন বৃদ্ধিতে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় এবার ১৩ জন বাগানীকে ৫০ শতক জমির জন্য বিদ্যমান আমবাগানে সার ও বালাইব্যবস্থাপনা প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জৈব ও রাসায়নকি সারসহ বালাইনাশক বিতরণ করা হয়েছে।

প্রদর্শনী পাওয়া বাগানী নবাবগঞ্জের মাগুরা গ্রামের জাহিরুল ইসলাম জানান, তার প্রায় ২০ বিঘা জমিতে আমবাগান রয়েছে। পরিচর্যা চলছে। আমের মুকুল ছেয়ে গেছে। ভালো ফলনের আশা করছি। একই গ্রামের বাগানী শাহাজাহান আলীও একই মন্তব্য করেন। নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৮৪৮ হেক্টর জমির ওপরে ৪ হাজার ৪৭০টি ছোট-বড় আমবাগান রয়েছে। যদি প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হয় তাহলে উপজেলা কৃষি বিভাগ এসব আমবাগান থেকে চলতি মৌসুমে ১১ হাজার ৪৪৮ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশা করছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর