বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য

কলকাতা প্রতিনিধি

শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য

এশিয়ার অন্যতম ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন, যেখানে প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষের যাতায়াত। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার এই শিয়ালদহ স্টেশনের মূল গেট থেকে নেমে উল্টো দিকেই সর্বোচ্চ ১০০ মিটার দূরত্বে রয়েছে এনআরএস হাসপাতাল। আর সেই হাসপাতালের ডান দিকের প্রাচীরের গায়েই শোভা পাচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের জাতির জনকের বিশাল আবক্ষ মূর্তি। একদিকে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী, অন্যদিকে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তবে স্থাপিত হওয়া দুই জাতির পিতার মূর্তি কোনো সরকারি অর্থায়নে হয়নি। এই মূর্তি স্থাপন করেছেন বিধায়ক পরেশ পাল। বছরখানেক আগে দুই দেশের জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা নেন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বেলেঘাটা কেন্দ্রের এই বিধায়ক। এরপর শুরু হয় মূর্তি তৈরির কাজ। কয়েকদিন আগেই এই দুই মূর্তির আবক্ষ উন্মোচন করেন বিধায়ক।

ফাইবারের তৈরি শ্বেতশুভ্র এই মূর্তি দুটি দিনের বেলায় যতটা না ভালো লাগছে, রাতের মায়াবী আলোতে তা হয়ে উঠেছে অপূর্ব সুন্দর। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নেমে যারা হাওড়া কিংবা শহরতলির অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য বাস বা সিএনজি ধরার অপেক্ষা করছেন, তাদের কারোরই নজর এড়াচ্ছে না এই দুটি ভাস্কর্য। একমুহূর্ত দাঁড়িয়ে দেখছেন, ছবি তুলছেন, তারপর আবার পথচলা শুরু। উত্তর কলকাতার বেলেঘাটা এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের একজন দক্ষ প্রশাসকের পাশাপাশি এলাকায় একজন সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত পরেশ পালের জন্ম বাংলাদেশের বরিশালে। মামাবাড়ি খুলনায়। যদিও পরবর্তী সময়ে বাবা-মায়ের হাত ধরে কলকাতায় চলে আসেন তিনি। স্বভাবতই আজও শিকড়ের টান অনুভব করেন এই বিধায়ক। তার অভিমত, ‘ভারত ও বাংলাদেশ শান্তির দূত। আমি যেমন আমার দেশের জাতির পিতা গান্ধীজিকে ভালোবাসি, তেমনি মুজিবুর রহমানও একজন সংগ্রামী চরিত্র, তাকেও খুব শ্রদ্ধা-ভক্তি করি। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনাকেও আমি শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। এসব ভেবেই দুই দেশের জাতির জনকের আবক্ষ মূর্তি তৈরি করার কথা ভাবী। এ ছাড়া এতে অসুবিধা কোথায়। আমাদের দিদি মমতা ব্যানার্জি উদার মনের মানুষ। তিনিও কোনোদিন এসব বিষয়ে অনুৎসাহিত করেননি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর