বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

কলকাতার আদালতে পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্ত

কলকাতা প্রতিনিধি

কলকাতার আদালতে পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্ত

পি কে হালদার

কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারসহ ছয়জনকে ১৬ মে ফের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। সেই সঙ্গে মামলার তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) পক্ষে অভিযুক্তদের যে নথি তুলে দেওয়া হয়েছে, তা যাচাই করে ১৭ এপ্রিল আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা ও প্রাপ্তি স্বীকারের কথা বলা হয়েছে। ৪১ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত শেষে গতকাল অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে এই নির্দেশ দেন স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহা।

এদিন স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩-এর বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে বিচারক মামলার পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন। এদিকে এই মামলার অভিযুক্ত ও haltrip কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর পৃথ্বীশ কুমার হালদারকে পলাতক ঘোষণা করেছেন আদালত। পৃথ্বীশ এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত পি কে হালদারের ভাই।

ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, পৃথ্বীশ হালদারকে না পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে পৃথ্বীশের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে। নতুন করে কোনো অভিযুক্তের জামিনের আবেদন করা হয়নি।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু স্থানে অভিযান চালিয়ে ২০২২ সালের ১৪ মে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইডি। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে। একই বছরের ১১ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। ‘অর্থ পাচার এবং দুর্নীতি মামলায় ওই ছয় অভিযুক্তের নামে চার্জ গঠন করা হয়। বর্তমানে অভিযুক্ত পি কে হালদারসহ পাঁচ অভিযুক্ত রয়েছেন প্রেসিডেন্সি কারাগারে। একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।

সর্বশেষ খবর