শিরোনাম
সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাহাড় মাতোয়ারা জলোৎসবে

রাঙামাটি প্রতিনিধি

পাহাড় মাতোয়ারা জলোৎসবে

সাংগ্রাই অর্থাৎ জলোৎসবকে ঘিরে পাহাড়ি এলাকায় মানুষের ঢল নেমেছে। তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান থেকে উৎসবস্থলে যোগ দিয়েছেন হাজারো নারী-পুরুষ। ফলে গতকাল কয়েক ঘণ্টর মধ্যেই জনসমুদ্রে রূপ নেয় পুরো উৎসবস্থল।

প্রতি বছরের মতো রাঙামাটি রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এবারও মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) আয়োজন করেছে এই জলোৎসবের। এর উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ উপস্থিত ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় কাশিতে ঘণ্টা বাজিয়ে সাংগ্রাই উৎসবের উদ্বোধন করেন দীপংকর তালুকদার। এরপর শুরু হয় সাংগ্রাই উৎসব। উৎসবে শুধু মারমা কিংবা রাখাইন সম্প্রদায়ই নয়, উৎসব উপভোগ করেন চাকমা, ত্রিপুরা, খিয়াং, গুর্খা, অহমিয়া, তঞ্চঙ্গ্যা,  উসুই, লুসাই, চাক, রাখাইন, খুমী, বমসহ বাঙালি জনগোষ্ঠীর হাজার হাজার নারী-পুরুষ। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে ওঠে উৎসবস্থল। গতকাল উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ছিল জলপ্রভাতের কর্মসূচি। নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ -তরুণীরা এ সময় আগে থেকে বানানো পানির প্যান্ডেল দিয়ে একে অপরকে পানি ছিটিয়ে কাবু করার চেষ্টায় মাতোয়ারা হন। প্রসঙ্গত, মারমা সম্প্রদায়ের বিশ্বাস- জল হচ্ছে পবিত্র। তাই জল ছিটিয়ে বিগত বছরের গ্লানি মুছে নতুনকে বরণ করলে জীবনে শান্তি স্থায়ীভাবে বিরাজ করবে। তাই নতুন বছরকে বরণ আর পুরান বছরকে বিদায় জানাতে তারা সাংগ্রাই উৎসব পালন করে থাকেন। এ উৎসব চলবে আরও এক সপ্তাহ। উদ্বোধনের সময় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, উৎসবের মধ্য দিয়ে বিনাশ হবে অশুভ শক্তি। সম্প্রীতির বন্ধন অটুট হবে পাহাড়ি-বাঙালির।

যারা সন্ত্রাসী আর চাঁদাবাজি করে তারা কখনো আত্মতৃপ্তি লাভ করতে পারে না। আর কোনো উৎসবের অংশীদারিও হতে পারে না। তাই অস্ত্র পরিহার করে এ উৎসবের অংশ হতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের শান্তির পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর