জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আরও পাঁচজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। গতকাল ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় এজলাসের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেন। এরপর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ সোমবার (৫ জুন) দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
সাক্ষীরা হলেন- ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া, ম্যানেজার অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মো. শহীদুল ইসলাম, সেলস ম্যানেজার এ কে এম হামিদুর রহমান, সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার খন্দকার সহিদুর রহমান এবং ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রকাশনা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় এজলাসের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেন। তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলেন, এ সরকারের আমলে কোনো সুবিচার হতে পারে না। নির্বাচনের আগে দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর কাছে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানকে হেয় করার একটা পাঁয়তারা করছে সরকার। এ জন্য তড়িঘড়ি করে রায় দেওয়ার অপচেষ্টা হচ্ছে। এ প্রহসনের বিচার বন্ধের দাবি জানান তারা। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহামুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আরও পাঁচজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর আগে এ মামলায় ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল।
আইনজীবী ও আদালত সূত্র জানিয়েছে, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।