রাষ্ট্রের কাঠামো সংস্কারে গঠিত ১১টি কমিশনের মধ্যে ১০টি কমিশন বিলম্বে হলেও তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে পাঁচ মাস পার হলেও প্রতিবেদন দিতে পারেনি স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন। ফলে দুর্নীতি ও অনিয়মে নিমজ্জিত স্বাস্থ্য খাত মেরামতে এখনো হাত দিতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। এদিকে সরকার চাইছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারের বড় অংশ নিজেরাই করে নিতে। পূর্বে প্রতিবেদন জমা দেওয়া কমিশনগুলোর সুপারিশেও অধিকাংশ সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ও বাকি কাজ পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের আমলে করার জন্য বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই হবে নির্বাচন। তবে কমিশনগুলোর বিলম্বে প্রতিবেদন জমা ও প্রতিবেদনের সুপারিশের ওপর ঐকমত্য গঠনে ধীরগতিতে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গত ৩ অক্টোবর পাঁচটি, ৬ অক্টোবর একটি ও ১৮ নভেম্বর পাঁচটি সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তবর্তী সরকার। প্রতিবেদন দিতে সময় দেওয়া হয় তিন মাস। সবগুলো কমিশন নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়। অক্টোবরে গঠিত কমিশনগুলোর (সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন) মধ্যে চারটি গত ১৫ জানুয়ারি ও দুটি ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়। নভেম্বরে গঠিত কমিশনগুলোর মধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ২২ মার্চ, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ১৯ এপ্রিল, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন ২০ এপ্রিল ও শ্রম সংস্কার কমিশন ২১ এপ্রিল প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে পাঁচ মাস পার হলেও প্রতিবেদন দিতে পারেনি দেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ১২ সদস্যের স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন। শুরুতে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কমিশনের সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা থাকলেও পরে সময় বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করা হয়। তাতেও কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় নতুন করে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তবে চলতি মাসেও প্রতিবেদন জমার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন কমিশনের কয়েকজন সদস্য। কমিশন সূত্র জানায়, সুপারিশের অনেক জায়গায় একমত হতে পারছেন না খোদ কমিশন সদস্যরা। একাধিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ হচ্ছে। তুলনামূলক জুনিয়র সদস্য মতামত দিলেও গুরুত্ব পাচ্ছেন না। সদস্যরা সবাই চিকিৎসক হওয়ায় তাদের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক ও পেশাগত দ্বন্দ্ব। কেউ কাউকে মানতে নারাজ। বেশ কিছু বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে শেষ হয়েছে। আবার কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদনের বিভিন্ন অংশ লিখেছেন ইংরেজিতে। ফলে অনুবাদ ও সম্পাদনায়ও সময় লাগছে। প্রাইভেট প্র্যাকটিসের কারণে অনেক সদস্য এর পিছনে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেননি। এসব কারণেই প্রতিবেদনে বিলম্ব হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা (দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চল) ও কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়েছে। চলতি মাসের শেষে বা আগামী মাসের শুরুতে তারা প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদন তুলে দেবেন। এজন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) সময় দিলেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
শিরোনাম
- কালকিনিতে হাতকড়াসহ পালানো আসামি গ্রেপ্তার
- চট্টগ্রামে দুই বন্ধুর ‘ইয়্যামেজিং’
- ১৪ পুলিশ সুপারকে বদলি
- শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
- ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
- তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃত রাজনীতি ও সমাজ ব্যবস্থায় ফিরতে হবে: এ্যানি
- আইন মন্ত্রণালয় দ্রুত সময়ে মতামত না দেওয়ায় ইশরাকের গেজেট প্রকাশ ইসির
- চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
- ‘পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি করব, তাদের চটাব না’
- বগুড়ায় হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসি
- অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে
- বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার
- অভিবাসন সাংবাদিকতার উন্নয়নে ‘মার্সেই সনদ’ সই
- নরসিংদী কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
- ইটভাটার কালো ধোয়ায় কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাঁই
- লক্ষ্মীপুরে দখল-দূষণে বিপন্ন খাল ও নদী উদ্ধারে অভিযান
- ‘শ্রমিক-মালিকের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে’
- রাজবাড়ীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
- আতিকুল-মামুনসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
- মারীখালি নদীতে ভাসছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
কচ্ছপের পিঠে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন
দুর্নীতি ও অনিয়মে নিমজ্জিত স্বাস্থ্য খাত মেরামতে এখনো হাত দিতে পারেনি সরকার
শামীম আহমেদ
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর