অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বিদায়ি অর্থবছরের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছেন। তিনি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য উত্থাপিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরেছেন। যা বিগত বহু বছরের মধ্যে কম। সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুনেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় তখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া। এ লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। ফলে নীতি সুদের হার বেড়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্ব নীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হচ্ছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে এসেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৫.৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রবৃদ্ধি-কেন্দ্রিক ধারণা থেকে সরে এসে আমরা চেষ্টা করেছি সামগ্রিক উন্নয়নের ধারণায় জোর দিতে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে এ লড়াইয়ে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে। ইতোমধ্যে চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাময়িক হিসাবে ৩.৯৭ শতাংশ হয়েছে, যা চূড়ান্ত হিসাবে কিছুটা বাড়তে পারে।