জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকাস্থ দূতাবাসের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসাডর ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গতকাল দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা জেমস স্টুয়ার্ট। হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকার শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি, আমরা ফেয়ার ইলেকশন চাই। মৌলিক সংস্কার চাই। বাংলাদেশে আর যেন কোনো দুর্বৃত্তায়ন ও চাঁদাবাজির রাজনীতি ফিরে না আসে, সে ব্যাপারে জিরো ভূমিকায় আছি। একই সঙ্গে আমরা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি সাইদা রুম্মান, মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট, কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের মজলিসে শুরা সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আমিনা রহমান, জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান। ডা. তাহের প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানান, ‘রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশেষ করে রিফর্মস, নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং কোনো সিকিউরিটি থ্রেট আছে কি না জানতে চেয়েছেন। আমাদের এ অঞ্চলে যে সিকিউরিটি থ্রেট আছে সে ব্যাপারে তাঁরা আমাদের স্টান্ডিং জানতে চেয়েছেন। টেররিজমের ব্যাপারে আমাদের ভিউজ এবং বাংলাদেশের পজিশন জানতে চেয়েছেন। আমরা এসব বিষয়ে তাঁদের অবহিত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ফরেন পলিসি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক আরও বেটার হবে এবং জামায়াতের সঙ্গে আগেও তাঁরা কাজ করেছেন এবং আগামীতে আরও বেশি ক্লোজলি তাঁরা কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।’
ডা. তাহের বলেন, ‘জামায়াতের আমির একটি বিষয়ে তাঁদের বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন, সেটা হলো ট্যারিফ সম্পর্কে। আমেরিকা আমাদের ব্যবসার ওপর ৩০% ট্যারিফ বসিয়ে দিয়েছে; যেটা আমাদের দেশের স্পেশালি গার্মেন্টস সেক্টরকে সাংঘাতিকভাবে অ্যাফেক্ট করবে। জামায়াতের আমির অ্যাম্বাসাডরের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং গভর্নমেন্টকে স্পেশাল অনুরোধ করেছেন-এ ব্যাপারে যেন কনসিডার করেন।’