সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখা ও জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও সম্ভাব্য করণীয় নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও প্রগতিশীল কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ১২-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। গতকাল দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে এ বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে ১২-দলীয় জোটের পক্ষ থেকে জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তাক হোসেন, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান, বাসদ (মার্কসবাদী) প্রেসিডিয়াম মেম্বার ডা. জয়দেব ভট্টাচার্য, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে সব দলের নেতারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে যে কোনো ছাড়ের বিনিময়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও অঙ্গীকারনামায় সই করার বিষয়ে একমতে পৌঁছান।
নেতারা বলেন, কোনো অজুহাতে যেন নির্বাচন বাধাগ্রস্ত না হয়। গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। নেতারা মনে করেন, আগামী নির্বাচন প্রলম্বিত করার যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
বাম জোটের নেতারা মনে করেন, সংসদ নির্বাচন ও একই দিনে গণভোট জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া সংবিধান-সংশ্লিষ্ট মৌলিক সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সংসদেই বাস্তবায়ন করতে হবে। তারা বলেন, অপ্রয়োজনীয় বিষয়াদি নিয়ে সংস্কার কমিশনের কালক্ষেপণের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ একটি নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছে এবং এই নির্বাচনমুখী যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।