চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বুলিং, র্যাগিং ও সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা নতুন নয়। শিক্ষার্থীদের ওপর এ ধরনের নির্যাতন ও হেনস্তা শিক্ষার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এখনো দৃশ্যমান নয়। এ জন্য প্রয়োজন ডেডিকেটেড মনিটরিং ব্যবস্থা ও দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল (র্যাপিড অ্যাকশন) পদক্ষেপ। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করাও জরুরি।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে দুই নারী প্রার্থী সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ করেছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগকারীরা হলেন- ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সহদপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী জান্নাতুল আদন নুসরাত (ইংরেজি বিভাগ, ২০২০-২১ সেশন) এবং নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস সানজিদা (সমাজতত্ত্ব বিভাগ, ২০২২-২৪ সেশন)। সানজিদা বলেন, আমরা সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট থেকে চাকসুতে প্রার্থী হয়েছি। আমাদের নির্বাচনি বক্তব্য কিংবা প্রচারের পোস্টগুলোতে বিভিন্ন অপরিচিত আইডি থেকে অপ্রীতিকর মন্তব্য করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা হেনস্তার শিকার হচ্ছি।
নির্বাচন কমিশন সচিব অধ্যাপক একেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আচরণবিধি সংক্রান্ত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমির মোহাম্মদ নসরুল্লাহ দেখবেন।
অধ্যাপক আমির মোহাম্মদ নসরুল্লাহ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টেকনিক্যাল টিম বিষয়টি দেখছে। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগগুলো নিয়ে রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই মাসের গণ অভ্যুত্থানের পর র্যাগিং, বুলিং ও ট্যাগিং প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেল গঠন করা হয়। সেলের পরিচালক, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. বেগম ইসমত আরা হক বলেন, আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। এখনো তিনটি অভিযোগ রয়েছে। বন্ধের পর এগুলো সুরাহা নিয়ে কাজ করব।