শরীরে আয়রনের ঘাটতির কারণে অনেকেই নানা রোগে আক্রান্ত হন। যদিও কিছু খাবার বেশি করে খেলেই আয়রনের ঘাটতি দূর হয়। পাঠকদের জন্য সেই খাবারের নাম ও বর্ণনা তুলে ধরা হলো।
১. পালং শাক : এক কাপ রান্না করা পালংশাকে ৬ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, এছাড়াও এতে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ ও ই থাকে। রান্না করা পালং শাক এর পুষ্টি উপাদান খুব সহজেই শরীর শোষণ করে নিতে পারে। বাচ্চাদের জন্য এটা খুবই ভালো।
২. কলিজা ও ডিম : আয়রনের অন্যতম ভালো উৎস হচ্ছে কলিজা। এছাড়াও এতে ভিটামিন, খনিজ লবন ও প্রোটিন থাকে। গরু-ছাগলের কলিজাতে আয়রনের পরিমাণ প্রচুর। যারা কলিজা খেতে পছন্দ করেন না তারা ডিম ও লাল মাংস খেতে পারেন। আধা কাপ ডিমের কুসুমে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে এবং ৩ আউন্স লাল মাংসে ২-৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।
৩. ডার্ক চকলেট : চকলেটপ্রেমীরা জেনে খুশি হবেন যে ডার্ক চকলেটের কিছু উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ডার্ক চকলেট আয়রনের একটি ভালো উৎস এবং এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে।
৪. ছোলা : এক কাপ ছোলাতে ৫ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে এবং এতে প্রোটিন ও থাকে। নিরামিষ ভোজীদের জন্য ছোলা আদর্শ খাদ্য। ছোলা খুবই উপাদেয় খাবার। এটা সালাদ ও পাস্তার সাথেও ব্যবহার করা যায়।
৫. কুমড়ার বীজ : এক কাপ কুমড়ার বীজে ২ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। সুস্বাদু কুমড়ার বীজ রান্না করে,সালাদের সাথে,সিদ্ধ করে বা ভেঁজে বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। তাই কিছু কুমড়ার বীজ বাসায় রাখুন।
৬. ডাল : আয়রনের একটি ভালো উৎস হল ডাল। এক কাপ ডালে ৬ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে এবং প্রচুর ফাইবার থাকে। এতে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কম থাকে এবং রক্তের সুগার লেভেল ঠিক রাখে।
৭. সেদ্ধ আলু : সেদ্ধ আলুতে ভিটামিন সি, বি ভিটামিন, প্রচুর পটাশিয়াম থাকার পাশাপাশি উচ্চমাত্রার আয়রন থাকে। খোসা সহ একটি সিদ্ধ আলুতে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।
বিডি প্রতিদিন/২০ এপ্রিল ২০১৭/এনায়েত করিম