ঢেঁড়স গ্রীষ্মকালীন একটি পুষ্টিকর সবজি, যা বাংলাদেশের বাজারে সহজলভ্য। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফোলেট, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান।
এছাড়া এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটেচিন ও কোয়ারসেটিনও রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। চলুন, জেনে নিই ঢেঁড়সের স্বাস্থ্য উপকারিতা-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
ঢেঁড়সে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঢেঁড়সের পাউডার ডায়াবেটিস আক্রান্ত ইঁদুরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়েছে।
কোলেস্টেরল কমায়
ঢেঁড়সে থাকা আঁশ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক
ঢেঁড়সে থাকা লেকটিন প্রোটিন স্তন ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা ফোলেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
ওজন নিয়ন্ত্রণে
ঢেঁড়সে ক্যালরির পরিমাণ কম, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ফাইবার পেট ভরা রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া কমায়।
হজমশক্তি বাড়ায়
ঢেঁড়সে থাকা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
ঢেঁড়স খাওয়ার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে:
কিডনি সমস্যা
ঢেঁড়সে অক্সালেট থাকে, যা অতিরিক্ত পরিমাণে কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। কিডনির সমস্যা থাকলে ঢেঁড়স খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পেটের সমস্যা
অতিরিক্ত ঢেঁড়স খেলে ডায়রিয়া, গ্যাস বা পেট ফাঁপার সমস্যা হতে পারে।
রক্ত জমাট বাঁধা
ঢেঁড়সে ভিটামিন কে থাকে, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাদের জন্য ঢেঁড়স খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সর্বোপরি ঢেঁড়স একটি পুষ্টিকর সবজি, যা সঠিক পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ