তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অ্যামিবার আকার যেমন মাঝে মধ্যে বড় হয় আবার ছোট হয়, বিএনপির জোটও হচ্ছে সেরকম। অ্যামিবা যেমন নিজে ভাগ করে দুইটা হয়, আবার চারটা হয়, বিএনপির জোটও ঠিক সেরকম। দেখা গেল, ২২ দলীয় জোট ছিলো, হলো ১২ দলীয় জোট আবার ক’দিন পরে শুনি তারা ৫৪ দলীয় জোট। এ জন্য তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদসহ কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপিতে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম সবাই আছে। সবাইকে একত্রিত করে ঘোষণাপত্র দেওয়া তো কঠিন কাজ। বিএনপির মধ্যে আবার কয়েকটি ভাগ, চেয়ারপারসনের ধারা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের ধারা, মির্জা ফখরুল সাহেবের ধারা, সংস্কারপন্থীদের ধারা- সব ধারাকে এক করাও কঠিন কাজ।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, এই আইন দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে। আমাদের এ আইন আমেরিকার আইনের চেয়ে অনেক সহজ। আমেরিকায় ডিজিটাল অপরাধের জন্য ২০১৫ সালের আইনটি ২০২২ সালে সংশোধন করা হয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি রাখা হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড। আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এতো কারাদণ্ড নেই। আমেরিকার আইনে ডিজিটাল অপরাধের প্রেক্ষিতে যদি কারও মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রে শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক