২২ জানুয়ারি, ২০২৪ ২০:০২

দুই পক্ষকে মিলেমিশে ইজতেমা সফল করার অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

টঙ্গী ও গাজীপুর প্রতিনিধি

দুই পক্ষকে মিলেমিশে ইজতেমা সফল করার অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

যোবায়ের ও সাদ পন্থিদের মিলেমিশে ইজতেমা করার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাবলীগের সাথীরা এখানে আসেন ইবাদতের উদ্দেশ্যে, দ্বিনের কাজে। এখানে এসে বিশৃঙ্খলা করা ঠিক না। দুই পক্ষ যদি একসাথে মিলে কিংবা এক প্লেটে খেতেন, তা দেখে যেতে পারলে আমরা খুশি হতাম। আমাদের অনুরোধ আপনারা মিলেমিশে ইজতেমাটা সফল করেন।

সোমবার বিশ্ব ইজতেমায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং প্রস্তুতি পর্যালোচনায় ফলোআপ সভায় এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমরা আশা করি আগামীতে এ মতবিরোধের নিরসন হবে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও কয়েক ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। যে কোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে দুইটি পর্বে সাড়ে পাঁচ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, গত বারের মতো এবারও বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষে যথা নিয়মে সাদ পন্থিদের কাছে ইজতেমা ময়দান হস্তান্তর করা হবে। তবে গত বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষে ময়দানের আসবাবপত্রে ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ইজতেমার মুসল্লিদের জন্য দুর্ভোগ কমাতে বিকল্প রাস্তা হিসেবে ভোগড়া বাইপাস ৩০০ ফুটের রাস্তা কাজ বন্ধ রেখে যান চলাচল চালুর কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, অতীতের ভুলগুলো খেয়ালে আনতে হবে। ইজতেমায় দুই গ্রুপ হওয়ায় অসংগতি হচ্ছে। দুই গ্রুপের বিবেদ দুঃখজনক।

জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, অতীতের মতো এবারও সুন্দর হবে। একটা সময় টয়লেট সুবিধা চাননি। কিন্তু এখন এটার গুরুত্ব বুঝতে পারছেন। আমরা পানির সাপ্লাই নিশ্চিয়তা করতে পেরেছি।

পুলিশের মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দিয়াবাড়ী এলাকায় একটা মঞ্চ করবেন না বলেছিলেন, কিন্তু আপনারা মঞ্চ করে ফেলেছেন। এটা অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা চাই, আপনারা ভবিষ্যতে যৌথভাবে কাজ করবেন।

ইজতেমা তদারকি কমিটির সমন্বয়ক ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম বলেন, পয়ঃনিস্কাশন বিষয়ে ওয়াসার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।

প্রথম পর্বের প্রতিনিধি খন্দকার মেজবাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, এই বাংলাদেশের ইজতেমা মানুষের রক্তের সাথে মনের সাথে মিশে গেছে। প্রথম পর্বের হস্তান্তর সময় কোনো সমস্যা হবে না বলে তিনি জানান।

দ্বিতীয় পর্বের প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেন, প্রথম পর্বের পরে সোমবার বা মঙ্গলবার বাদ মাগরিব আমাদের মাঠ দিয়ে দিতে অনুরোধ করছি। গতকাল (রবিবার) প্রথম পর্বের লোকজন উত্তরায় আমাদের একজনকে মারধর করেছে। সে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, মুরুব্বি মুসল্লিদের হ্যান্ড ওভার ও টেক ওভার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। বিদেশি মেহমানদের বিষয়ে আরও খেয়াল রাখতে হবে, যাতে বিদেশে আমাদের ইজ্জত থাকে। এবার ২০০টি স্মার্ট সিসি ক্যামেরা থাকবে।

এ সময় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা ছিলেন।

প্রথম পর্বে জোবায়ের পন্থিদের ইজতেমা শুরু হবে আগামী ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং সাদ পন্থিদের দ্বিতীয় পর্ব ইজতেমা শুরু হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর