জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজেই বলেছিলেন পতন হলে তাদের লক্ষাধিক লোক মারা যাবে। বাস্তবে তা হয়নি। কারণ তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের বাড়ি-ঘর পাহারা দিয়েছি। এরা জনসাধারণের প্রতি যে অবিচার-অত্যাচার করেছে তারপরও তাদের উপর কোনো হামলা হয়নি। বিএনপি মানুষের কোনো ক্ষতি করে না, নাশকতামূলক কাজ করে না।
তিনি বলেন, সরকারের পতন হলেও এদের দোসরা এখনও সক্রিয়। সারাদেশে দীর্ঘ দেড় যুগ এরা সন্ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করেছে। এ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে গেলেই বিএনপিকে চাঁদাবাজ ও দখলবাজ হিসেবে অপব্যাখা দেওয়া হচ্ছে। যুবদলে কোনো দখলবাজ বা চাঁদাবাজের স্থান নেই। আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন অভিযোগে সংগঠনের অনেকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু পরক্ষণেই যে অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হয়-পরে অভিযোগকারীরাই বলেন এসব ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত নন। বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করতে যে চক্রটি সক্রিয় ছিল তারা এখনও সরব।
বুধবার বিকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিউট মিলনায়তনে ‘বৈষম্যহীন, নিরাপদ, মানবিক বাংলাদেশ গড়ায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ভূমিকা’ শীর্ষক ঢাকা বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল কবির পলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন।
যুবদল সভাপতি দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, মনে রাখতে হবে বিএনপি এখনও ক্ষমতায় আসেনি।আমাদের কাছে মানুষের অনেক প্রত্যাশা। সে আস্থাকে নষ্ট করা যাবে না। সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে এবং সকল দখলবাজ-চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে হবে। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।
যুবদল সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন বলেন, আমাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করা, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা, জনগণের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা। আজকে সম্মেলিত আন্দোলনে তা সফল হয়েছে। কিন্তু এ সফলতা ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনীতির অপর নাম হচ্ছে ত্যাগ। মানুষের সেবা করা। আমরা মানুষের যত সেবা করব ততই মানুষ আমাদের ভালবাসবে। বন্যার্তদের পাশে আমরা যেভাবে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি, সেভাবে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের সুনাম নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। সে থেকে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েলের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক, উত্তরের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল, সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, ঢাকা জেলার সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, গাজীপুর জেলা আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লা, মহানগর সভাপতি সাজেদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কাজী মোশতাক হোসেন দিপু, নরসিংদী জেলার সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, মুন্সিগঞ্জ আহ্বায়ক দেওয়ান মুজিবর রহমান, টাঙ্গাইল জেলার আহ্বায়ক রাশেদুল আলম, নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, মহানগরের মনিরুল ইসলাম স্বজল প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত