মানিকগঞ্জের সিংগাইরে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহতের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমসহ ৫২ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং ৩৮ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।
বুধবার মানিকগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন নিহত নাসির উদ্দিনের ভাই শহিদুল ইসলাম।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক পৌর মেয়র মীর মো. শাজাহান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহিদ, সহ-সভাপতি আব্দুল মাজেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম, পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার, প্যানেল মেয়র সমেজ উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস সালাম খান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিনসহ ৫২ জন নেতাকর্মী। এছাড়া মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম, ডিবি পুলিশের ওসি মাহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিংগাইর থানার এসআই আদিল মাহমুদ ও মোজ্জামেল হোসেনসহ ৩৮ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সিংগাইরের গোবিন্দল এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল বের করে সমমনা ইসলামি দলগুলো। এসময় পুলিশের সঙ্গে এক হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অস্ত্র নিয়ে মিছিলে বাধা দেন। একপর্যায়ে মিছিলকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে চারজন নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক।
মামলার বাদী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে সেসময় মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টো পুলিশ বাদী হয়ে গ্রামবাসী ও স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। তাই সুষ্ঠু বিচারের আশায় ঘটনার এক যুগ পর মামলাটি করা হলো।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত