মধুচন্দ্রিমার ভোর যে দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, তা মনে হয় স্বপ্নেও ভাবেননি ভারতের মিরাটের নবদম্পতি সুমিত রাঠোর ও শিবানি দম্পতি। এই নবদম্পতির মধুচন্দ্রিমার রাতেই হানা দেয় এক বেরসিক বাঘ। জানালার কাঁচ ভেঙে সোজা হোটেলের কক্ষে।
রবিবার (৩১ জুলাই) ভারতের উত্তরখণ্ড রাজ্যের পর্যটন জেলা নৈনিতালে ঘটনাটি ঘটে। মধুচন্দ্রিমার জন্য পছন্দের জায়গা হিসেবে নৈনিতালকেই বেছে নিয়েছিলেন সুমিত রাঠোর।
দাম্পত্য জীবনের প্রথম সফরে সুমিত তার স্ত্রী শিবানিকে নিয়ে উঠেছিলেন হোটেলে। মধুমাখা রাত কাটানোর পর যখন সুমিত ও তার স্ত্রী ঘুমে অচেতন ঠিক তখনই ঘটল সেই ঘটনা। ঝন ঝন করে ভেঙে পড়লো কাঁচের জানালা।
ঘটনায় চমকে ঘুম ভেঙে যায় সুমিতের। চোখ খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। চোখের সামনে হোটেল কক্ষের ভেতরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে জ্বলজ্যান্ত চিতা। ভয়ে কম্বলের তলায় নতুন বৌকে নিয়ে লুকিয়ে পড়লেন সুমিত। অসভ্য চিতাটি তখন ড্যাবড্যাব করে নতুন বর-বউয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে!
তবে সৌভাগ্য যে মধুচন্দ্রিমায় বাঘমশাই ব্যাঘাত ঘটালেও তেমন কোনো ক্ষতি করেনি। এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করে সোজা চলে যায় বাথরুমে।
সুমিত রাঠোর বলেন, ''ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে জানালার কাচ ভাঙার শব্দ পেয়ে আমার ঘুম ভেঙে যায়। সেখান দিয়ে একটি চিতাবাঘ প্রবেশ করতে দেখে ভয়ে আমি রীতিমতো জমে গেলাম। আমি দ্রুত স্ত্রীকে নিয়ে কম্বলের নিচে চলে গেলাম। এর ফাঁক দিয়ে দেখলাম চিতাবাঘটি সোজা আমাদের বাথরুমে প্রবেশ করল। আমি দ্রুত ছুটে গিয়ে বাথরুমের দরজাটি বাইরে দিয়ে বন্ধ করে দিলাম এবং হোটেল কর্তৃপক্ষকে ফোনে বিষয়টি জানালাম।''
খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা খাঁচা ও ট্রাঙ্কুলাইজার বন্দুক নিয়ে হোটেলে হাজির হন। কিন্তু চিতাবাঘটি বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে বের হয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
বন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চিতাবাঘটির বয়স বছর দেড়েক। কুকুরের তাড়া খেয়ে এটি হোটেলে প্রবেশ করেছিল।
ভিডিও:
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ