গালে ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ি। চোখে চশমা। চেহারায়, চাকচিক্যে আধুনিক হলেও তিনি একেবারে নগ্ন। বিধানসভায় বসে আছেন মন্ত্রী, এমএলএ-দের বসার জায়গার বেশ উপরেই। আর শোনাচ্ছেন একের পর এক ‘কড়ে বচন’।
বিধানসভার বাদল অধিবেশনে প্রথমবার এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল হরিয়ানা। ‘কড়ে বচন’ সেশনে বাইরে থেকে আমন্ত্রিত হয়ে কেউ তার ভাবনা জানাতে পারেন। সেখানেই রামবিলাস পাসোয়ানের আমন্ত্রণে হাজির হয়েছিলেন জৈন ধর্মাবলম্বী এই সাধু। শোনালেন তার ভাবনার কথা। রাজনীতির উপর ধর্মের নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলেই মনে করেন তরুণ সাগর নামের এই দিগম্বর সাধু। ধর্ম তার কাছে স্বামীর মতো, রাজনীতি সেখানে পত্নী। অর্থাৎ পত্নী তথা মহিলাদের উপর পতি তথা পুরুষের নিয়ন্ত্রণকেই জোর গলায় প্রচার করলেন সাধু। তার বক্তব্য, পত্নী তথা রাজনীতির নিয়মের অনুশাসনে থাকা বাধ্যতামূলক। আর তাই এর উপর ধর্মের নিয়ন্ত্রণও প্রাসঙ্গিক।
ভ্রুণহত্যা রুখতেও তিনি শোনালেন তার নিজস্ব দাওয়াই। তার মতে, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবেই এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব। যাদের মেয়ে নেই তারা যেন রাজনীতিতে অংশ না নিতে পারেন, এমনকী যাদের মেয়ে নেই তাদের পরিবারের সঙ্গে কেউ যেন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ না হন। সন্ন্যাসীরাও এরকম বাড়ি থেকে যেন সাহায্য না নেন। অর্থাৎ সামাজিকভাবে একঘরে করেই সমস্যা সমাধানের ভাবনা তার। তার মতে, এর ফলেই কন্যা সন্তানের প্রতি বাড়বে মমত্ব। তাতেই আটকানো যাবে ধর্ষণের মতো ঘটনা।
সন্ত্রাস প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে তুলোধনা করে সাধুর মন্তব্য, কোন ধর্মই সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না। সরকার অস্ত্র কিনতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে, তা শিক্ষার পিছনে খরচ করলে সন্ত্রাস অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যেত বলে দাবি তার। মোদি সরকারের কাজকর্মের প্রশংসাও শোনা গেল সাধুর মুখে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/২৭ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-২২