একটানা ৬৩ দিন অনশন করার পরে মৃত্যুবরণ করেছিলেন শহীদ যতীন দাস। বিজ্ঞান বলে, সাধারণভাবে পানি ও খাবার ছাড়া কোন মানুষের পক্ষে মাস দু'য়েকের বেশি জীবনধারণ করা সম্ভবও নয়। কিন্তু হিন্দু সন্ন্যাসী প্রহ্লাদ জানি, ওরফে মাতাজির দাবি, তিনি বিগত ৭৭ বছর ধরে পানি বা খাবার কিছুই মুখে তোলেননি। তবুও মৃত্যুতো দূরের কথা দুর্বলতা পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারেনি তাকে।
১৯২৯ সালে গুজরাটে জন্মগ্রহণ করেন প্রহ্লাদ। মাত্র সাত বছর বয়সেই আধ্যাত্মিক অনুসন্ধিৎসার তাগিদে নিজেদের রাজস্থানের বাড়ি ছেড়ে প্রহ্লাদ জঙ্গলে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। প্রহ্লাদের বক্তব্য, মাত্র ১১ বছর বয়সেই দেবী অম্বার কৃপা লাভ করেন তিনি। তারপরে অম্বার মতোই লাল শাড়ি আর অলংকারে নিজেকে সজ্জিত করেন তিনি। দেবী অম্বাই নাকি প্রহ্লাদকে পানি ও খাদ্য ছাড়া জীবিত থাকার শক্তি প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রহ্লাদের বিশ্বাস, স্বয়ং দেবীই তার শিরস্থ ব্রহ্মরন্ধ্র দ্বারা এমন কিছু দ্রবণ তার শরীরে প্রবিষ্ট করিয়ে দেন যে অন্য কোন পানীয় বা খাদ্যের প্রয়োজনই হয় না তার। বর্তমানে প্রহ্লাদ গুজরাটের অম্বাজি মন্দিরের কাছে একটি জঙ্গলের অভ্যন্তরে একটি গুহার মধ্যে বসবাস করেন। রোজ ভোর ৪ টের সময় ঘুম থেকে উঠে পড়েন তিনি, এবং দিনের বেশিরভাগ সময়টা ধ্যানের মাধ্যমে কাটান।
বিডি প্রতিদিন/ ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন