সোমবার ভোররাতের শক্তিশালী ভূমিকম্পে সারাদেশে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক।
রাজধানীর পূর্ব জুরাইন এলাকায় ভোররাতের ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দ্রুত রাস্তায় নামতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আতিকুর রহমান আতিক (২৭) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আতিক রাজধানীর পূর্ব জুরাইন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করতেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
রাজশাহীতে ভূমিকম্প আতঙ্কে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম খলিলুর রহমান। তার বাড়ি নগরীর মতিহার থানার নতুন বুধপাড়া এলাকায়।
মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, ভোরে ভূমিকম্প শুরু হলে আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন খলিলুর রহমান। এরপর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ঘোনাবাড়ী গ্রামে ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নূর ইসলাম কদু (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তি পাটগ্রাম উপজেলার ঘোনাবাড়ী কদুর বাজার এলাকার মৃত নজর উদ্দিনের ছেলে।
পাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শাহ জামাল জানান, ‘ঘোনাবাড়ী এলাকার মুদি ব্যবসায়ী নূর ইসলাম কদু ভূমিকম্পের সময় ঘুম থেকে উঠে আতঙ্কে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ মোজাম্মেল হক জানান, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় আতিকুর রহমানের। পরে তাকে ঢামেকে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজ ভোররাত ভোর ৫টা ৭ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ কেঁপে ওঠে পুরো বাংলাদেশ। রিখটার স্কেলে এ কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৭। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ভারতের মণিপুর রাজ্যের তামেনগ্লংয়ে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৪ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা