বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় চার্জ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামিপক্ষের করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের আর বাধা রইলো না।
বুধবার দুপুরে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আবেদন ‘উপস্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা ওই মামলায় চার্জ গঠন করেছে নিম্ন আদালত।
এরপরই মোশাররফের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলতে আইনগত আর কোনো বাধা নেই বলে জানান দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, আগামী ২৪ জানুয়ারি এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মোশাররফের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে এ মামলাটি করেন। পরে একই বছরের ১৪ আগস্ট দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করে আইন পরিপন্থী কাজ করেছেন।
মোশাররফ হোসেন ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েডস টিএসবি অফশোর প্রাইভেট ব্যাংকে আট লাখ চার হাজার ১৪২ দশমিক ৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড (হিসাব নম্বর ১০৮৪৯২) জমা করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা।
২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল সময় পর্যন্ত মন্ত্রী থাকাকালীন মোশাররফ হোসেন ওই অর্থ পাচার করেন বলে দুদকের তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায়।
বিডি-প্রতিদিন/২০ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব