দীর্ঘ মেয়াদে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলেই বাংলাদেশ সমমানের দেশগুলোকে পেছনে ফেলে সমৃদ্ধির দৌড়ে প্রথমে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
শুক্রবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের হীরক জয়ন্তী ও অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে অয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা, অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. মোস্তফা কামাল মুজেরী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের উত্তরীয় পড়িয়ে দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
ড. আতিউর রহমান বলেন, শুধু দীর্ঘ মেয়াদে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলেই বাংলাদেশ সমমানের দেশগুলোকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। রাজনীতিতে সহনশীলতা যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে আমরা সমৃদ্ধির দৌড়ে প্রথম সারিতেই থাকবো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতির অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশে কর্মরত প্রায ৯৫ লাখ প্রবাসী বছরে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। রেমিট্যান্স আহরণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে সপ্তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয়। বৈদেশিক অর্থনৈতিক খাতের এই শক্তির জোরেই আমরা ২৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছি।
তিনি আরও বলেন, সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে ৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জন্য বিদেশিদের কাছে হাত পাততে হতো। এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। বর্তমানে তিন কোটি ৮৪ লাখ টন খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ নয় বরং বাংলাদেশের ওই ঝুড়ি এখন খাদ্য ও বিদেশি মুদ্রায় পরিপূর্ণ হয়ে উপচে পড়ছে।
বিডি-প্রতিদিন/২২ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব